হবিগঞ্জে কোটি টাকার মালিক বালু খেকো আলমগীর ও তার সহযোগিকে উত্তম-মধ্যম

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৭

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

হবিগঞ্জ শহরে জিরো থেকে হিরো বনে যাওয়া কোটি টাকার মালিক ও বালু খেকো জেলা যুবলীগ নেতা পরিচয়ধারী আলমগীর তালুকদার ও তার সহযোগি নোহানকে গণধোলাই দিয়ে সেনা ক্যাম্পে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা।


রোববার রাত নয়টায় হবিগঞ্জ পৌর প্রাঙ্গণ এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে সেনাবাহিনী তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করে।

আলমগীর তালুকদার শহরের ফায়ার সার্ভিস রোড এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও নোহান মোহনপুর এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আলমগীর তালুকদার হবিগঞ্জ শহরের চিহ্নিত বালু ব্যবসায়ী। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জায়গা-বাড়ি দখল, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও জলমহাল দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন অপকর্ম করে সে যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে জিরো থেকে হিরো বনে যান আলমগীর তালুকদার। নুন আনতে পানতা ফুরানো যুবলীগ নেতা আলমগীর বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। সম্প্রতি বাহুবলে অবৈধভাবে বালু মহাল দখল করে কয়েক কোটি  টাকা উপার্জন করে আলমগীর।

এছাড়া সরকারি বিভিন্ন জলমহাল, হবিগঞ্জ শহর ও অলিপুরে বিভিন্ন জায়গা জোরপূর্বক দখল করে বিক্রিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন আলমগীর। শুধু তাই নয়, বাহুবলের পুটিজুরি এলাকার কল্যানপুরে বালু উত্তোলনের জন্য সাধারণ মানুষের জমি দখল ও শহরের শায়েস্তানগরে সিএনজি স্ট্যান্ড’র আহবায়ক পদ বাগিয়ে নিয়ে চাঁদাবাজির করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি হবিগঞ্জ শহরের সিনেমাহল রোড এলাকায় বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের মামলার অন্যতম আসামী সে।

গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আত্মগোপন করে আলমগীর। মাঝেমধ্যে ফায়ার সার্ভিস রোডে তার দেখা মিলতো তার। সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় আলমগীর ও তার সহযোগি নোহান প্রকাশ্যে ঘুরাঘুরি করলে স্থানীয় জনতার নজরে পড়ে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদেরকে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে সেনা ক্যাম্পে হস্তান্তর করে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার (ওসি) আলমগীর কবির জানান, জনতা উত্তম-মধ্যম দিয়ে তাদের সোপর্দ করলে সেনাবাহিনী থানায় হস্তান্তর করে। আলমগীর তালুকদার শহরের সিনেমা হল রোড এলাকায় বিএনপির অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত ও নোহান অজ্ঞাতনামা আসামী। তাদেরকে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়।


যাযাদি/এসএস