লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে লাল মিয়ার বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ একটি জরাজীর্ণ ভাঙ্গা একটি ঘরে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করার কারণে কখন যে ঘরটি ভেঙ্গে পড়বে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এমন ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বছরের পর বছর পরিবার পরিজন নিয়ে। বসবাসকারী লালমিয়া দিনমজুর। অর্থের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ঘরটি মেরামত করতে পারছেন না।
ঘরের টিনের চালে মরিচা ধরে কিছু জায়গায় ছিদ্র হয়ে গেছে। বেড়ার টিন, কাঠ, টিনের দরজা ও জানালাও জরাজীর্ণ। ভেঙে পড়তে পারে যেকোনো সময়। এমনই করুণ অবস্থা উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশীরাম মুন্সির বাজার গ্রামের আব্দুল কাশেমের ছেলে লাল মিয়া ঘরটিতে বসবাসের কষ্টের যেন শেষ নেই তার।
রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, তার একমাত্র ঘরটি জরাজীর্ণ। বৃষ্টির পানি ও শীতের কুয়াশা ঠেকাতে টিনের চালের নিচে পলিথিন টাঙিয়েছেন তিনি। কাশীরাম গ্রামের বাসিন্দা ফজলু মিয়া বলেন, মেরামতের অভাবে ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টি এলেই ঘরের ভেতরে পানি পড়ে তার উপর তো শীতের দিন এখন খুব কষ্টে মানবতার জীবন যাপন করছে লাল মিয়া ও তার পরিবার। আর্থিক সংকটে নিজ উদ্যোগে মেরামত করতে পারছেন না দিনমজুর লাল মিয়া। তিনি বলেন, ‘ঘরের ভেতরে বৃষ্টির পানি পড়ে। পলিথিন টানাইছি, তাতেও কাজ হয় না।
দিনমজুর লাল মিয়ার ভোগান্তির বিষয়টি তুলে ধরে তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বুলু মিয়া বলেন, বৃষ্টি এলেই ঘরটিতে পানি পড়ে লালমিয়া একেবারেই হতদরিদ্র। নুন আনতে পান্তা ফুরানো অবস্থা তার ঘরটি মেরামত অর্থ সংকটের কারণে করতে পারছে না।
তাই সরকারি অনুদানে ঘরটি মেরামত করা গেলে দুর্ভোগ কমবে বলে জানান তিনি। লাল মিয়া ও তার পরিবার, সরকারের কাছে তার ঘরটি মেরামতের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য যে, সবার কপালে সরকারি ঘর জুটলেও লাল মিয়ার মত দিনমজুরের কপালে জোটেনি সরকারি ঘর।
যাযা