রাজধানীর তুরাগে বিএনপির সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শফিকুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে পতিত আওয়ামী সরকারের দোসর ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা।
জানা যায়, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যাকাণ্ডে জড়িত পালিয়ে থাকা এমন অপরাধীদের ধরতে তুরাগ থানাধীন উত্তরা ১৮নং সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে অভিযান চালায় সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। ওই অভিযানে পুলিশকে সহযোগিতায় করায় তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলামের উপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে মামলা সূত্রে জানা যায়, গেল ২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে নয়টার দিকে তুরাগ থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য অপূর্বের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা শফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় অংশ নেয় উত্তরা ১৮নং সেক্টর ইউনিট ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল্লাহ রায়হান, সনম, নাছির উদ্দিন, কাউছার, মাসুম বিল্লাহ, আনোয়ার, অপূর্ব, দিদার, তানভীর, সাকিব মিয়া, রাকিব, শিশির রায়, ফারুক ওরফে বাবুলসহ আরো ৪০/৫০ জনের ছাত্রলীগ-যুবলীগের ওই বাহিনী। এ সময় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা শফিকুল ইসলামের ফাস্টফুড দোকানের ক্যাশ লুট ও গলা থেকে স্বর্ণের চেইন কেড়ে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এদিকে, ভুক্তভোগী স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা শফিকুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার একটি ভিডিও ফুটেজও এসেছে প্রতিবেদকের হাতে। যেখানে দেখা যায়, তুরাগ থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য অপূর্ব, সনমসহ চার পাঁচজন শফিকুলের কলার ধরে টানা-হেঁচড়া করছে।
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা শফিকুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানায়, রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে পুলিশ অভিযান চালানো ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ওই সন্ত্রাসীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হত্যাচেষ্টা করেছে। গেল কয়েকদিন আগে ওরা আমার ফাস্টফুডের দোকানে এসে চাঁদাও দাবী করেছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাহাৎ খান অভিযোগ ও মামলার সত্যতা প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। আসামীদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
যাযাদি/এসএস