রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মেহেরপুরে পোকার সংক্রমণে আমন ধানে ফলন বিপর্যয়

মেহেরপুর প্রতিনিধি
  ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:২৭
ছবি: যায়যায়দিন

মেহেরপুরে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ঝড় বৃষ্টি ও পোকার আক্রমনে ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। ঝড় বৃষ্টিতে ধান গাছ নুয়ে পড়া ও পোকার আক্রমন প্রতিরোধে চাষীদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।

চাষীরা বিঘা প্রতি ২২-২৪ মণ ফলন হবার আশা করলেও ফলন হচ্ছে ১৫-১৬মণ। যার কারণে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা পূরণ না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। তবে চাষীরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পোকার আক্রমনে ধানের ফলন বিপর্যয়ের কথা বললেও কৃষি বিভাগ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা পূরণে আশাবাদি।

কৃষি বিভাগের হিসেবে মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে ২৬ হাজার ৮শ ৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৯২ হাজার মেঃটন। এখন ধান ঘরে তোলার শেষ সময় চলছে। যে সময় ধান শীষ নিয়ে দাড়িয়েছে ঠিক সেই সময় ঝড় বৃষ্টিতে ধান গাছ নুয়ে পড়ে এবং পোকার আক্রমন শুরু হয়। পোকার আক্রমন প্রতিরোধে নানা ধরনের কীটনাশক ও ছাত্রাকনাশক প্রয়োগ করেও চাষীদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এই ফলন বিপর্যয়। এবার বিঘা প্রতি ধান চাষে খরচ হয়েছে ১৩-১৪ হাজার টাকা। চাষীরা বলছেন, বিঘা প্রতি ২২-২৪ মণ ফলন হওয়ার কথা কিন্তু ফলন হচ্ছে ১৫-১৬ মণ।

লাভের ভাগে ধানের বিচালী। তবে ফলন বিপর্যয়ের মধ্যেও যারা ব্রি-ধান ১০৩ জাত আবাদ করেছেন তাদের ভাল ফলন হচ্ছে। বর্তমানে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে নতুন ধান। এই দামে চাষীদের লাভ হবেনা। তাদের দাবী মন প্রতি ধানের দাম ১৫-১৬শ টাকা হলে ভাল হতো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার যায়যায়দিনকে জানান, অধিক বৃষ্টি হওয়ায় ও রোগ বালাইয়ে কিছুটা ক্ষতি হলেও আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা যেটা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জিত হবে বলে তিনি আশাবাদি।

যাযাদি/এআর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে