চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সাড়াবাড়িয়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম মাচা পদ্ধিতে পটল চাষে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে।
চলতি মৌসুমে পটল চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন তিনি। মাচার উপরে একটির গায়ের উপর আর একটি পটোল দাঁড়িয়ে আছে। মাটি থেকে দুই-তিন ফুট উঁচুতে তার-বাঁশের তৈরি সারি সারি মাচার উপরে নিচে ঝুলছে অসংখ্য পটোল। প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে এসব পটোল খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন মনিরুল।
সরেজমিনে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মনিরুল ইসলাম পটোল ক্ষেত পরিচর্যা করছেন। পটল চাষী মনিরুল ইসলাম বলেন, তার এক বিঘা জমিতে পটোল চাষে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। উৎপাদিত পটল বিক্রি করে এ পর্যন্ত ২ লাখ টাকা পটোল বিক্রি করেছে। পটোল জমি থেকে তুলার সঙ্গে সঙ্গে পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকেই পটল নিয়ে যায়। পটোল চাষ করে অভাবের সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছেন তিনি। গত কয়েক বছর আগেও তাদের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকতো। পটোল চাষ করে তিনি ঘুরিয়েছেন ভাগ্যের চাকা। আবহাওয়া ভালো থাকলে তার এই জমি থেকে আরও ৭০ হাজার টাকার পটোল বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। অন্য ফসলের তুলনায় পটোলে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে বেশি জমিতে চাষ করবেন বলেও জানান তিনি।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার জানান, পটোল একটি জনপ্রিয় সবজি। সারাবছরই কম-বেশি পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে দামুড়হুদা উপজেলায় অনেক চাষি পটোল চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। এ বছর উপজেলায় ১৭৪ হেক্টর জমিতে পটোল চাষ করেছেন কৃষকেরা। কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় আধুনিক পদ্ধতিতে পটোল উৎপাদন, পোকামাকড় ও রোগ দমনে আধূনিক পদ্ধতিসহ বিভিন্ন কার্যকর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যাযাদি/এসএস