শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন: হবিগঞ্জ কারাগারে থেকেও আসামী ব্যবসায়ী রিয়াদ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
  ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৯
ছবি : যায়যায়দিন

হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি ও হামলা মামলার আসামী হয়েছেন তরুণ ব্যবসায়ী সায়েদুল আরেফিন রিয়াদ (২৭)। যা নিয়ে তার নিজ এলাকা নবীগঞ্জে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণেই প্রতিপক্ষরা বাদীকে বিপুল পরিমান অর্থের মাধ্যমে ভষিভূত করে এই মামলার আসামী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিয়াদ। শুধু রিয়াদ নন, একই মামলায় আসামী করা হয়েছে তার চাচা লোকমান চৌধুরীকেও। এমতাবস্থায় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন নিরীহ ভোক্তভূগীরা। রিয়াদ নবীগঞ্জ উপজেলার খনকারী পাড়া গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর পুত্র।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়- রিয়াদে সাথে তার চাচা আবু ইউসুফ চৌধুরী ও প্রতিবেশী সাবাজ মিয়ার পুত্র আলাল আহমেদের সাথে পারিবারিক সহায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জেরধরে তাদের আদালতে মামলা পাল্টা মামলা চলমান রয়েছে।

প্রতিবেশী আলাল মিয়া মারামারির অভিযোগ এনে গেল ১০ ফেব্রুয়ারী হেলাল মিয়া, সায়েদুল আরেফিন রিয়াদ ও বিলাল মিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় গত ২৭ জুন আদালতে হাজির হন সায়েদুল আরেফিন রিয়াদ, বিলাল মিয়া, ফরিদ মিয়া ও ফরহাদ মিয়া। এসময় আদালত উভয় পক্ষের শুণাণী শেষে আদালত সায়েদুল আরেফিন রিয়াদ, বিলাল চৌধুরী ও ফরিদ মিয়াকে কারাগারে প্রেরণে নির্দেশ দেন এবং ফরহাদ মিয়ার জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন। এর থেকে রিয়াদ ওই মামলায় ৪ আগস্ট দুপুরে জামিন পান। পরে সন্ধ্যায় তিনি হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হন।

কিন্তু গত ৩ আগস্ট বিকেলে সিলেট চৌহাট্রা পয়েন্ট ছাত্রজনতার উপর হামলা গুলির ঘটনায় গেল ৭ নভেম্বর রাজন মিয়া নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ৭৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০০/১৫০ জনকে আসামী করে সিলেট কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় ১৩নং আসামী করা হয় হবিগঞ্জ কারাগারে থাকা হাজতি সায়েদুল আরেফিন রিয়াদকে। একই সাথে হবিগঞ্জ শহরে থেকেও একই মামলার আসামী হন তার চাচা লোকমান চৌধুরী।

সায়েদুল আরেফিন রিয়াদ জানান- আমি জেলে থেকেও মামলার আসামী হয়েছি দেখে আমিসহ গ্রামবাসি সকলেই হতবাক হয়েছে। রিয়াদ বলেন- মূলত আমার আমার চাচা শিক্ষক আবু ইউসুফ চৌধুরী ও প্রতিবেশী আলাল আহমেদ পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সিলেটের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমার জড়িয়েছে। মামলার বাদী রাজন মিয়াও আমাদের এলাকার লোক। তাই তারা তাকে বিপুল অংকের অর্থের মাধ্যমে ভষিভূত করে আমার এবং আমার চাচার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে। তিনি বলেন- এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট কোতয়ালী থানার (ওসি) মোঃ জিয়াউল হক জিয়া বলেন- বাদীর অভিযোগ ভিকটিম এবং ভিকটিমের কাজগপত্র ইনজুরি ও ঘটনার সত্যতা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় আসামীদের যাচাই বাচাই সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে