২৩ নভেম্বর শনিবার সকালে শহরের অষ্টমীতলা এলাকায় জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার উদ্যোগে ওই টার্মিনালের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সুযোগ্য জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।
শেরপুর পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. হযরত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মো. আব্দুল বাতেন ও শহর বিএনপির সভাপতি এবিএম মামুনুর রশিদ পলাশ।
পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল কাদেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. হযরত আলী বলেন, আমাকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব তারেক রহমান আশ্বাস দিয়েছেন বিএনপি ক্ষমতায় এলে শেরপুর জেলায় ১৭ বছরের যে উন্নয়ন হয়নি তা ১৭ মাসেই করা হবে। তারেক রহমান আমাকে শেরপুর জেলার দায়িত্ব দিয়েছেন যেন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, মাদক কারবারি থেকে শুরু করে যত অনিয়ম রয়েছে তা বন্ধ করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৭ বছর শেরপুরে কোন মেডিকেল কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও রেললাইন হয়নি তা আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে করা হবে বলে তারেক জিয়া কথা দিয়েছেন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুবায়দুল আলম, জেলা বাস কোচ মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌতম সাহা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মো. শওকত হোসেন প্রমুখ। ওইসময় শেরপুর সেনাক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা মেজর তাউসীফ বিন হাসানসহ জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা, জেলা বাস-কোচ মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দুই দফায় উদ্বোধনের পরও শেরপুর পৌর এ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালটি চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শেরপুরবাসী। এক সময় শেরপুরে কোনো সরকারি বাস টার্মিনাল ছিল না। এ কারণে নবীনগর ও গৌরীপুরে ব্যক্তি মালিকানার দুটি জায়গা টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ অবস্থায় ২০০৯ সালে অষ্টমীতলা এলাকায় তিন একর জমির ওপর প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয় করে বাস টার্মিনাল নির্মাণ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। সে সময় সেটি উদ্বোধন করা হলেও বাইপাস সড়ক না থাকার অজুহাতে তা চালু করা যায়নি।
এরপর টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়নসহ ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাইপাস সড়ক নির্মাণের পর ২০২৩ সালের ৯ জুলাই আবারও তা উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু নিরাপত্তার অভাব এবং যাত্রী ও শ্রমিকদের পর্যাপ্ত বসার জায়গা না থাকার কথা জানিয়ে নতুন টার্মিনালে যেতে রাজি হয়নি বাস মালিক ও শ্রমিকরা। সর্বশেষ শেরপুর জেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. হযরত আলীসহ জেলা পরিবহন মালিক সমিতি-শ্রমিক ইউনিয়নের সকল নেতৃবৃন্দের সাথে বসে টার্মিনালটি চালুর চূড়ান্ত এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এদিকে উদ্বোধনের পর এ টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
যাযাদি/ এম