নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা এসআই মোঃ আব্দুল কাদের (বিপি ৭৭৯৭০২৬১৫৬)সহ মোট ষাট (৬০) জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কেন্দুয়া পৌরসভার বাদে আঠারবাড়ী এলাকার মোঃ জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন । মামলা নং ১৬ ।
জানা গেছে, মোঃ আব্দুল কাদের (বিপি ৭৭৯৭০২৬১৫৬) এঁর গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার বাবুগঞ্জ বাজার এলাকার অনন্তপুরে । পিতা-অজ্ঞাত (মামলায় উল্লেখকৃত) ।
মামলা সূত্রে আরো জানা যায়, ৩০ মে ২০১৬ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষে শোক র্যালী বের হয়ে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থিত কেন্দুয়া জয় হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসলে তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও অজ্ঞাতরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করলে প্রাণ ভয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে গেইট আটকে দেয়া হয় । কিন্তু আওয়ামী লীগের উশৃঙ্খল, সন্ত্রাসী ও অজ্ঞাতরা গেইট ভেঙে ৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে,অতর্কিত হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায় । এতে প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয় । এমনকি এতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, ১নং স্বাক্ষী (বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব) ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর জামার কলার ধরে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মাথার খুলি উড়িয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে ঐ পুলিশ কর্মকর্তা ।
মামলার বাদী মোঃ জামাল উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বেই সবকিছু সংঘটিত হয়েছিলো । তাঁকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানাই ।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাছাড়া বিভাগীয় তদন্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে । আইনের চোখে কারো ব্যক্তি পরিচয় বা পদ- পদবি মূল বিষয় নয় ।
যাযাদি/এআর