চট্টগ্রাম পলিটেকনিকে হামলা: দুই পক্ষের পাল্টা কর্মসূচি

প্রকাশ | ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:০২

চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি : যায়যায়দিন

চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আবাসিক হল খোলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দিনভর ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন তারা।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নগরের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহর এলাকায় ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে দুই নম্বর গেট ঘুরে পুনরায় ষোলশহরে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বহিরাগত ছাত্রদল নেতাদের হামলায় তাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় যারা জড়িত সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বিক্ষোভ মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম কলেজ শিক্ষার্থী  ইবনে হোসাইন, চবি সমন্বয়ক ফজলুল হক শ্রাবণ, আবু ওবায়দাহ, আদনান শরিফ, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ফাহিম, শিক্ষার্থী আল আমিন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মিনহাজ উদ্দীন, আহমেদ সাঈদ, আরমান শাহরিয়ার, তৌহিদুল ইসলাম, মহসিন কলেজ সমন্বয়ক এজিএম বাপ্পীসহ কয়েকজন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে জামায়াত শিবিরের হামলার প্রতিবাদে জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীদের আরেকটি পক্ষ। তাদের মিছিলটি পলিটেকনিক মোড় থেকে শুরু হয়ে রুবি গেইট ২নং গেইট প্রদক্ষিণ করে পলিটেকনিক মোড়ে এসে শেষ হয়। 

তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়ে সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ কর্মসূচির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি লিখেছেন, আজ চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কর্মসূচি নেই।

এছাড়া শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৩ টায় নগরীর লাভ লেইনস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, হলে সিট বরাদ্দ নিয়ে অনিয়ম এবং সমসাময়িক সমস্যাবলি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মোহাম্মদ সাব্বির নামে চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ সাব্বির বলেন, জুলাই বিপ্লবে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা ভিন্নভাবে অংশগ্রহণ করলেও এখানে কোন প্রকার নেতৃত্ব ছিল না। আমরা দেখে আসছি ৫ই আগস্টের পর সাবেক ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী ফাহিম হোসেন, আল-আমিন ভুইয়া তারা ৪র্থ বর্ষের ছাত্র তারা তাদেরকে সমন্বয়ক দাবি করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করে অযাচিত কলেজ প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে এবং কলেজে জামায়াত শিবিরের শিক্ষক হিসেবে সিরাজ স্যার কে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল স্যারকে দিয়ে সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে প্রতিনিয়ত মিছিল-মিটিং করে শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়েনর জন্য সকল দাবি উত্তলণ করে তাদের অনুকূলে আদায় করে নিচ্ছে। 

মোহাম্মদ সাব্বির আরও বলেন, সিট বরাদ্দের ক্ষেত্রে অনিয়ম হওয়ায় আমরা কলেজ অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হলে উনাকে আমরা কলেজে না পেয়ে হল সুপারকেও পাই নাই উল্টা স্যারেরা শিবির কর্মী দিয়ে হল সিট বরাদ্দের রশিদ কাটার দায়িত্ব দিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যান। আমরা হলের রশিদ কাটার দায়িত্বকে দিয়েছে বললে উল্টা ছাত্রশিবির কর্মীরা আমাদের মারধর করে এবং আমাদের অনেক সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা করে এবং আমরা কলেজ থেকে যাওয়ার সময় পলিটেকনিক মোডে পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমির মাহবুব হাসান রুমি এর নেতৃত্বে সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা করে। আমরা চাই আমাদের কলেজের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজমান থাকুক।

যাযাদি/এস