শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কর্ণফুলীতে অগ্নিকান্ডে ৫ দোকান পুড়ে ছাই

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০
আপডেট  : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫২
ছবি: যায়যায়দিন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় অগ্নিকান্ডে ৫ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আনুমানিক ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার মইজ্জ্যারটেক মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে কর্ণফুলী মডেল ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান হল, মো. বাদশাহের ফলের দোকান, মো. বেলালের মোবাইলের দোকান, ছোটন দে এর সিএনজি ওয়ার্কসপ, পেয়ার আহমদের কুলিং কর্ণার ও নুরুল আকতারের কুলিং কর্ণার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে মইজ্জ্যারটেক মো. বাদশার ফলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রাপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুনে সূত্রপাত্র সঠিক কারণ জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীদের দাবি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত্র হয়। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন মশার কয়েল থেকে আগুন লাগে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার মো. বেলাল বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ ফোন আসে দোকানে আগুন লেগেছে। পরে এসে দেখি সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেল। ধার-কর্য করে দোকান করেছি। জানিনা এখন কি হবে। আমার ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সিএনজি ওয়ার্কসপের মালিক ছোটন দে বলেন, ওয়ার্কসপের দোকান করে কোনোমতে ঘরসংসার চালাই। এখন সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঋণ করে দোকানটি দিয়েছিলাম। এতে আমার ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে কর্ণফুলী মডার্ণ ফায়ার স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা অভি বড়ুয়া বলেন, আগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখন নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

যাযাদি/এআর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে