অন্তবর্তী সরকারের ভুমি ও বেসামরিক বিমান,পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা এএফএম হাসান আরিফ বলেছেন বিশ্বে বহু দেশ ছোট ছোট দেশ আছে তাদের চেয়ে আমরা শিক্ষায় অনেক পিছনে পড়ে আছি।
১৯৭২ সালে ওয়ামি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওয়ামী শিক্ষাসহ যুবকদের নানা বিষয়ে তাদের অবদান আজ বিশ্বব্যাপী রেখে চলেছেন। যুব সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পৃক্ত রয়েছে ওয়ামী। কালিয়াকৈরের সফিপুরে হাসপাতালসহ আরও অনেকগুলি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে যা সমাজিক কাজে যুক্ত থাকবে। যুবসমাজকে নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান করা হবে এই কমপ্লেক্সের মাধ্যমে। তার সঙ্গে সঙ্গে যাবতীয় জাগতিক শিক্ষা জাতির জীবনে চলার পথে তাকে জীবিকা অর্জনের সহায়ক হয়। শুধু তাই নয় উচ্চ শিক্ষার জন্য তারা (ওয়ামী )বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ দিয়ে থাকেন । বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষার জন্য যে কেউ এপ্লাই করতে পারবেন। শুক্রবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুরে ওয়ামী কমপ্লেক্সের ভবন উদ্বাধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৮১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যুবক ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি অফ মুসলিম ইয়ুথ (ওয়ামি) সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বের প্রায় অর্ধশত দেশের যুবক প্রতিনিধিদের নিয়ে আন্তর্জাতিক যুবক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয় ,কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জিয়াউর রহমান যুব উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য গাজীপুরের সুখিপুরে সাত একর জমি ওয়ামিকে প্রদানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন সেখানে আজ ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনের কার্যক্রম প্রথমিকভাবে উদ্বোধন করা হলো।তিনি উল্লেখ করেন আজকে এখানে যে রকম একটি মাস্টার প্ল্যান উদ্বোধন করার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং যে প্রতিষ্ঠান এখানে উদ্বোধন হলো তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই যে তারা আমাদের যুব সমাজকে এগিয়ে নেবার জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
ওয়ামি যুবকদের নিয়ে কাজ করছে এটা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়। ওয়ামি যুব সমাজের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা এনে দিয়েছে সেই সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে যেতে হবে।
এছাড়া তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন আমি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি। পার্শ্ববর্তী ভারতে এই মুহূর্তে ভিসা প্রদান কিছুটা রেস্ট্রিকশন রয়েছে। পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিষয় এটা না। তারা ভিসা দিবেন কি দিবেন না এটা তাদের বিষয়। এখানে আমাদের কোন বক্তব্য নেই। পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য আমি সকলকে অনুরোধ করব তোমরা সকলেই যদি আমার মন্ত্রণালয়ে আসো আমরা এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করবো।
এছাড়া প্রধান অতিথি বলেন বিশে^ অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ভ্রাতৃপ্রতিম সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করেন এই জন্য তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কল্যাণে যথাসম্ভব জোরালো ভুমিকা পালনের আহ্বান জানান।
তিনি মিডিয়ার প্রতি অনুরোধ করে বলেন আপনারা ওযামীর বিভিন্ন উন্নয়নমুলক চিত্র বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে দেশের যুব সমাজের কাছে পৌঁছে দেওয়ার । ওয়ামীর মাধ্যমে স্কলারশিপের সুযোগ একজন যুবকের সামনে আছে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে যুবকদের আহবান জানান।
যাযাদি/এসএস