শেরপুরে পৌর টার্মিনাল থেকে আন্তজিলা বাস চালানোর নির্দেশ

প্রকাশ | ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২২

শেরপুর প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

দীর্ঘ্ দুই যুগ পর শেরপুরে পৌর টার্মিনাল থেকে আন্তজিলা বাসকোচ চলাচলের নির্দেশ দিয়েছেন শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান ।

২১ নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার  ২০২৪ স্বারক নং- নম্বর: ০৫.৪৫.৮৯০০.০০৯.১১.০০৩.১৮-৭৭০ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়, শেরপুর (জুডিসিয়াল মুন্সিখানা শাখা) জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান সাক্ষরিত বার্তায় বলেন ২১ নভেম্বর ২০২৪ ইং বৃহস্প্রতিবার অনুষ্ঠিত 'অষ্টমীতলা পৌর আন্তঃবাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার গাড়ী চলাচল নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সভার' সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২৩/১১/২০২৪ খ্রি. তারিখ থেকে সকল বাস অষ্টমীতলা পৌর আন্তঃবাস টার্মিনাল হতে চলাচল করবে এবং শহরে বিদ্যমান অন্যান্য বাসস্ট্যান্ড বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।  


এদিকে শেরপুর পৌর প্রশাসক মোঃ তোফায়েল আহাম্মেদ  পৌরসভা ফেসবুক পেইজে তিনি লেখেন  শেরপুর পৌর আন্তজেলা বাসস্ট্যান্ড নিয়ে জেলা প্রশাসক, সকল বাহিনী, রাজনৈতিক নেতৃত্ব , বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাস মালিক - শ্রমিক, পৌরকর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ শনিবার  হতে  অষ্টমীতলা বাসস্ট্যান্ড হতেই সকল আন্তজিলা বাস কোচ  চলবে। "ইনশাআল্লাহ শেরপুর শহরে অষ্টমীতলা বাসস্ট্যান্ড চালু হবে, অন্য সকল বাসস্ট্যান্ড বন্ধ হবে। সকল বাস বাইপাস দিয়ে চলবে, শহরে প্রবেশ করবে না।"

এ সিদ্ধান্তের আলোকে শুধু অষ্টমীতলা বাসস্ট্যান্ড হতেই সকল  দুর পাল্লার বাস কোচ  চলবে। সকলকে আন্তরিক ভাবে  সহযোগিতা কামনা করেছেন এবং  অন্য সকল বাসস্ট্যান্ড বন্ধ হয়ে যাবে। শহরের ভিতর দিয়ে কোন বাস যাবে না, বাইপাস দিয়ে চলবে।

 এদিকে বিষয়টি সোস্যাল মিডিয়াই বেশ আলোচিত হলে  জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবি, অভিজ্ঞ মহল, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং সাধারন মানুষ (দৈনিক যায়যায়দিন) কে জানান প্রায় ত্রিশ বছর যাবৎ শেরপুরে দুটি পৌর টার্মিনাল থাকতে ও  শেরপুরের দুর  পাল্লার গাড়ী গুলি  কিছু রাজনৈতিক দল এবং কিছু রাজনৈতিক  সংগঠন ঘেষা  অ-পেশাদার মালিক  ও শ্রমিক সংগঠন গুলি জিম্মি করে বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানা স্ট্যান্ড ও শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ্ রাস্তা দখল করে , রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে গাড়ী গুলি চলে আসছে । গত ত্রিশ বছর যাবৎ কিছু রাজনৈতিক দল এবং কিছু রাজনৈতিক  সংগঠন ঘেষা  অ-পেশাদার মালিক  ও শ্রমিক সংগঠন গুলি জিম্মি করে রেখেছিলো ।  

এবার শেরপুর জেলা প্রশাসক ও শেরপুর পৌর প্রশাসকের সহায়তায় এ জিম্মি থেকে মুক্তি পাচ্ছে বলেও অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন।


যাযাদি/এস