গাজীপুরের শ্রীপুরে অটোরিকশা চুরির অপবাদ দিয়ে এক তরুণকে বারান্দার খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এক জনকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) শ্রীপুর পৌরসভার ভাংনাহাটির কাইচ্চাগড় এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
নির্যাতনের শিকার ওই তরুণের নাম মিন্টু মিয়া (২৫)। তিনি শ্রীপুর পৌর এলাকা বহেরারচালা গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে।
নির্যাতনের ভিডিওটি তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশের নজরে আসলে, অভিযান চালিয়ে রাত ১০টার দিকে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ আটক করা ব্যক্তির পরিচয় জানাননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খুঁটির সাথে বেঁধে যুবককে নির্যাতনের কয়েকটি ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, হলুদ শার্ট ও লুঙ্গি পরা এক যুবককে একটি ঘরের বারান্দার সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে পিঠমোড়া করে বেঁধে রাখা হয়েছে। সাদা টিশার্ট ও নীল জিন্সের প্যান্ট পরা আরেক যুবক ছেলেটির দুইপা টেনে নির্যাতন চালাচ্ছে। একপর্যায়ে ছেলেটির পায়ের ওপর ওঠে লাফালাফি করতেও দেখা গেছে। এসময় ‘ও মা, মাগো’ বলে চিৎকার করলে মারধরের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয় নির্যাতনকারীরা। এদের মধ্য থেকে কয়েকজন নির্যাতন কারীদের মারধর করতে নিষেধ করলেও তারা তা মানেননি। পরে ছেলেটির বাঁধন আরো শক্ত করে চুরির স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা চালায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, অটোরিকশা চোর সন্দেহে ছেলেটিকে ধরে নির্যাতন চালানো হয়েছে। নির্যাতনের সময় ছেলেটি ‘ও মা, মাগো’ বলে চিৎকার করছিলেন। এরপরও তাঁকে রেহাই দেয়নি। ওই সময় উপস্থিত একজন এগিয়ে গিয়ে নির্যাতনকারীকে থামানোর চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর পরই নির্যাতনের ভিডিওটি পুলিশের নজড়ে পড়ে। পরে তাৎক্ষণিক খোঁজ নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক করা ব্যক্তিকে থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
যাযাদি/ এস