বরগুনার বেতাগীতে নিজ গৃহ থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা শ্বাসরোধ করার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা সিত কেটে ওই ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার সহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতের যে কোন সময় উপজেলার পূর্ব কাজিরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার কাজিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব কাজিরাবাদ গ্রামের মাহবুব হোসেন কাঞ্চন হাওলদারের কন্যা নাসিমা বেগম তার বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। প্রতিদিনের মতো তিনি তার বসতঘরে ঘুমান। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার সময় একই বাড়ির মমতাজ বেগম ঔযু করার জন্য যাওয়ার সময় নাসিমা বেগমের ঘরের পিছনে সিদ কাটা দেখতে পান। এ অবস্থা দেখে তিনি বাড়ির সবাইকে বিষয়টি জানান।
লোকজন এসে নাসিমা বেগমকে ডাকাডাকি করলে কোন সারা শব্দ না পেয়ে চান্দখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ঘরে প্রবেশ কওে নাসিমা বেগমকে (৬০) কাঁথা পেচানো অবস্থায় মৃত্যু দেখতে পান। পরে পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের সদস্য আসে।
পরে ঘটনার আলামত সংগ্রহের জন্য সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটকে খবর দেয়া হয়। সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট এসে ঘটনার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন। পুলিশ লাশের সূরাতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পরপরই বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল হালিম, বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ একরামুল হক ও বরগুনা ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ মোঃ বশির উদ্দিনসহ পুলিশি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নাসিমা বেগম ১০-১২ বছর যাবত তার বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। এর আগে তিনি প্রথম স্বামীর সাথে খুলনায় বসবাস করতেন। তার প্রথম স্বামীর ঘরে রোমেনা, তাহেরা ও নিলা নামে তিন কন্যা রয়েছে। পরে তার আরো দুইটি বিবাহ হয় তবে কোন সংসারই বেশী দিন টিকেনি। নাসিমা বেগমের ৩ বোন দুই ভাই রয়েছে। নাসিমা বেগম বাইরে বের হলে বিভিন্ন পদের স্বর্ণাালঙ্কার পরিধান করে বের হতেন এবং স্মার্ট ভাবে চলাফেরা করতেন বলে এলাকাবাসী জানান।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল হালিম বলেন, কে বা কাহারা সিত কেটে নাসিমা বেগমের ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণাালঙ্কারসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্তের জন্য আমরা সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটের মাধ্যমে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
এটি হত্যাকান্ড না অন্য কিছু তা তা ময়নাতদন্ত শেষে বের হয়ে আসবে। তবে এটা বলা যায় শাসরোধের ফলেই নাসিমা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা মামলার তদন্ত শেষে প্রকৃত আসামীরা বের হয়ে আসবে। ময়না তদন্ত্রের আগে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
যাযাদি/ এম