নীলফামারীর ডোমারে আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করলেও স্থানীয় বাজারে মিলছে না নতুন আলু। পাইকারি দামে সহনশীলতা থাকলেও হাত ঘুরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় খুচরা বাজারে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার উত্তোলনকৃত আলু ক্ষেত পরিদর্শনে আসেন কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম। এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম। তিনি আলু চাষীর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং আগাম ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করেন।
ডোমার উপজেলায় আগাম জাতের প্রথম আলু উত্তোলন করা হয়েছে গত ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের গোসাইগঞ্জ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বারের ছেলে জুয়েল ইসলাম তিন বিঘা জমিতে আগাম রুমানা জাতের আলু চাষ করেন।
তিনি জানান, আলুর ফলন এবং দাম দুটোই ভালো। ক্ষেতেই তিনি তার আলু বিক্রি করে দেন। প্রতি বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছে ২০ থেকে ২১মন। প্রতি মন আলু পাইকারি দামে বিক্রি করেছেন ৬হাজার টাকা করে। আলুগুলো উত্তোলন করে ক্ষেতেই ট্রাকে লোড দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একই এলাকার আলু চাষী জহুরুল ইসলাম ১০বিঘা জমিতে আগাম আলু লাগিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নতুন আলু উত্তোলন করেন। পাইকারি ১৭০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন জামালপুরের এক ব্যাবসায়ীর কাছে। ফলে স্থানীয় হাট বাজারে এখনো দেখা মিলছে না নতুন আলুর।
গোসাইগঞ্জ এলাকার দায়িত্বে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন মোহন্ত জানান, আগাম আলু উত্তোলন হলেও সেগুলো স্থানীয় বাজারে সরবরাহ হচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, এবারে ডোমার উপজেলায় আগাম জাতের আলু বপন করা হয়েছে ২৫০হেক্টর জমিতে। বপন শুরু করা হয় ২১সেপ্টেম্বর। মাত্র ৫৮দিনেই ফসল ঘরে উঠেছে।
তিনি আরো জানান, সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে জানতে পারেন দেশের বিভিন্ন এলাকায় নতুন আলু বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০টাকা কেজি দরে। যাহা পাইকারি দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া ডোমার উপজেলায় এবার আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১হাজার ৫৩৫হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৭৩০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানো হয়েছে। নতুন আলু উত্তোলন হলেও উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে এখনও নতুন আলুর দেখা মেলেনি। পুরাতন আলু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০টাকা কেজি দরে। যাযাদি/এআর