বাগেরহাটের মোল্লাহাটে মোবাইল কোর্টের অভিযানে তিনশ'কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত চিংড়ির মধ্যে ক্ষতিকারক জেলি পুশকৃত অংশের কিছু পুড়িয়ে বিনষ্ট ও কিছু এতিমখানা মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া পুশ বিহীন ২৫ কেজি চিংড়ি নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলার নতুন ঘোষগাতী গ্রামের লাইজুর মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই সব চিংড়ি মাছ জব্দ করা হয়। এরপর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হয়। পুশ কার্যক্রমে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হরেকৃষ্ণ অধিকারী এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস সালামসহ সংশ্লিষ্টরা।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হরেকৃষ্ণ অধিকারী জানান, এটা মূলত গলদা চিংড়ি, যেটি মানুষ তরতাজা ভেবে কিনছে, কিন্তু তারা জানে না এর ভিতরে যে কি ক্ষতিকারক জেলি রয়েছে, যেটা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। যেটি খেয়ে মানুষ নানা রোগাক্রান্ত হচ্ছে। এরকম অভিযান আমরা অব্যাহত রাখব।
তবে অনেকে বলেন, এই জেলি পুশিং যারা করে তারা মৎস্য অফিসে মাসোহারা দেয়। যে কারণে মাঝে মধ্যে এমন অভিযান হলেও মুলত এ পুশ কার্যক্রম বন্ধ হয়না।
যাযাদি/ এম