ক্লুলেস চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র খালিদ বিন লিশাদ (১৯) হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে অন্যতম আসামী মিনারা আক্তার মিনু। হত্যার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও পুলিশ সুত্র জানায়।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে লিশাদ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম।
কিশোরগঞ্জ থানা সূত্র জানায়-ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের রুস্তমের পুত্র ওয়াহিদের (৪০) সাথে কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের মুশরুতপানিয়ালপুকুর স্কুলপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের কন্যা মিনারা আক্তার মিনুর (৩০) সাথে বিবাহ হয়। এক পর্যায়ে মিনারার সাথে কলেজ ছাত্র লিসাদের পরকীয়া সর্ম্পক গড়ে উঠে। পরকীয়ার ঘটনা থেকে লিসাদ হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। এদিকে কলেজ ছাত্র খালিদ বিন লিশাদ হত্যা ঘটনায় ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামের রুস্তমের পুত্র ওয়াহিদকে (৪০) ঢাকার মোহাম্মপুর কাটাসুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাবের যৌথ অভিযান টিম। পরে ওয়াহিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মামলার অন্যতম আসামী মিনারা আক্তার মিনুকে (৩০) ঢাকার বাড্ডার মরাগলি এলাকা থেকে র্যাব গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কিশোরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে র্যাব । পুলিশ আসামী মিনারা আক্তার মিনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে খুনের সত্যতা স্বীকার করে। এ ঘটনার সাথে অন্যান্য জড়িতদের বের করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলে পুলিশ জানায়। অন্যদিকে মরদেহ উদ্ধারের দিন হত্যার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে মিনুর সহোদর ভাই গোলাম রব্বানীকে পুলিশ আটক করে। আদালতের মাধ্যমে তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
১২ নভেম্বর সকালে নিতাই ইউনিয়নের চাড়ালকাটা নদী থেকে খালিদ বিন লিশাতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের মুখ ঝলসে দেয়ায় পড়নের কাপড় দেখে তার বাবা লাশটি সনাক্ত করেন এটি তার পুত্র লিশাদ। এদিকে লিশাতের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে ১৪ নভেম্বর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান- পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মিনারা আক্তার মিনু নিজে হত্যার কথা স্বীকার করলেও কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তা বের করা যায়নি। লিশাদ হত্যা ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পূর্ণ তথ্য উদঘাটনে মিনুর আপন ভাই গোলাম রব্বানীকে তিন দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) গ্রেফতারকৃত ২ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
যাযাদি/এসএস