কক্সবাজারে লাখ টাকা ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগে সিআইডি পুলিশের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমণ কমিশন (দুদক)কে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালতে মামলাটি করেন হয়রানির শিকার উখিয়া উপজেলার রত্না পালন গ্রামের শান্তি বড়ুয়া ছেলে মোটর মেকানিক সুমন বড়ুয়া।
অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন, বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) এ কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক শামছুল আলম। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবি আমির হোসেন।
এ বিষয়ে আইনজীবি স্বপন কান্তি দাশ ও আইনজীবি আবুল হোসেন জানিয়েছেন, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমণ কমিশন (দুদক) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী উখিয়ার সুমন বড়ুয়া বলেন, আসামি শামছুল আলম একজন ঘুষখোর, দুর্ণীতি পরায়ন সরকারি কর্মচারী। সে কোন দায়িত্ব পেলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে বসে। তার চাহিদা মতো ঘুষ দিতে না পারলে মিথ্যা মামলায় রিপোর্ট দিয়ে হয়রানি করে।
বাদী বলেন, আমাদের ওয়ারিশী জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হইলে অধীনান বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে অপর ১৩৫/২০২৩ মামলা দায়ের করি। উক্ত নালিশী জমিতে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ প্রচার করে বিজ্ঞ আদালত। পরে উক্ত মামলায় কতেক বিবাদী নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে জবর দখলের চেস্টা করলে ভায়োলেশন মিচ ০১/২০২৪ দায়ের করি। উক্ত ভায়োলেশন মামলার দায় হতে রেহায় পেতে বিবাদী বোধিরত্ন বড়ুয়া জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা হেতুতে বাদী সুমন বড়ুয়াসহ অপরাপর ওয়ারিশের বিরুদ্ধে সিআর ১৩৮/২০২৪ দায়ের করে।
বাদীর অভিযোগে প্রকাশ, মিথ্যা মামলাটি খারিজের পক্ষে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলে মোটা অংকের ঘুষ দাবী করে পুলিশ পরিদশক শামছুল আলম।
সেই মতে, গত ০৫/০৪/২০২৪ইং তারিখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে। একই ভাবে গত ০৩/০৭/২০২৪ইং তারিখ আরো ১০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করে। পরে বাদী প্রতিবেদনটি দেখতে চাইলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন বলেও অভিযোগে প্রকাশ পায়।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে পুলিশ পরিদর্শক শামছুল আলম এর ব্যবহৃত নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
যাযাদি/ এম