মাগুরা শ্রীপুরে বিএনপি'র দু-গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:১৩

শ্রীপুর(মাগুরা) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

মাগুরার শ্রীপুরে সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিবাদমান দু-গ্রুপের সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামের গয়েশপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান ধলু ও গয়েশপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও ওয়ার্ড বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম সাচ্ছুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্ততঃ ১০ জন মারাত্বক আহত ও বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান ধলু ও গয়েশপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও ওয়ার্ড বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম সাচ্ছুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিরোধের সূত্রধরে মঙ্গলবার সকালে বাগবাড়িয়া গ্রামের সাহেব মেম্বারের বাড়ির সামনে থেকে হাবিবুর রহমান ধলুর সমর্থক সোহেল, রাফসান, মুক্তার, ওয়াসিমসহ ৮ থেকে ১০ জন মিনহাজুল ইসলাম সাচ্ছুর সমর্থক বাহারুল ইসলামকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। আহত বাহারুল ইসলাম মাগুরা জেলা আদালতে মহুরীর কাজ করতো।  মহুরীর কাজে মাগুরা যাওয়ার পথে তাকে কুপিয়ে মারাত্বক আহত করে। বাহারুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে মিনহাজুল ইসলাম সাচ্ছুর সমর্থকেরা নজরুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে লুটপাটের সকল মালামাল ফেরত দেওয়া হয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় মিনহাজুর রহমান সাচ্ছুর সমর্থক বাহারুল ইসলাম (৪০), নওশের খান (৫০), জয়নাল মোল্যা (৩০) এবং হাবিবুর রহমান ধলুর সমর্থক মুক্তার মণ্ডল (৪৫) সহ উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতরা বর্তমানে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ও শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইদ্রিস আলী জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

যাযাদি/এসএস