পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মাদারীপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার ও বর্তমান ডিআইজি সুব্রত কুমার হালদারকে বুধবার দুপুরে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন মাদারীপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নূর মোহাম্মদ আবু শাহরিয়ার কবীর। সুব্রত কুমার হালদার বর্তমানে সারদা পুলিশ একাডেমিতে সংযুক্ত ছিলেন।
জানা গেছে, সুব্রত কুমার হালদার ২০১৯ সালে মাদারীপুর পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকাকালে কনস্টেবল পদে নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। নিয়োগ প্রার্থীদের পরীক্ষার বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে অতিরিক্ত নম্বর প্রদান করেন এবং ১৭ প্রার্থীর কাছ থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঘুষ নেন। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম এই ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরবর্তীতে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। ১৮ নভেম্বর জামিনের মেয়াদ শেষ হয়।
বুধবার দুপুরে এই মামলা মাদারীপুর আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গত বছরের ৫ জুলাই সুব্রত কুমার হালদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। তদন্ত শেষে পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়।দুদক সূত্র জানায়, সুব্রত কুমার হালদার বাদে অন্য আসামিরা হলেন মাদারীপুর পুলিশ লাইনসের বরখাস্ত হওয়া কনস্টেবল মো. নুরুজ্জামান সুমন ও জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পিয়াস বালা ও মাদারীপুরের সাবেক টিএসআই (শহর উপপরিদর্শক) গোলাম রহমান। অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুদক তদন্তকালে জব্দ করা ৩২টি লিখিত পরীক্ষার খাতা ও আনুষঙ্গিক রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অনিয়মের চিহ্ন এবং অতিমূল্যায়নের প্রমাণ পায়।
মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি এ্যাড. আনোয়ার হোসেন আরমিন বলেন, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্যের করনে মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদারকে মাদারীপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নূর মোহাম্মদ আবু শাহরিয়ার কবীর জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি মনে করি এতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যত বড় সরকারি কর্মকর্তা হোক না কেন অনিয়ম ও দুর্নিতি করলে শাস্তি হবেই।
যাযাদি/ এম