ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটে আন্দোলনের মুখে বুধবার(২০ নভেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বেপরোয়া গতির বিনিময় বাস সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী সড়কে বেপরোয়া গতির বিনিময় বাস সার্ভিস প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে অসংখ্য যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।
মঙ্গলবার(১৯ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে বিনিময় বাসের সঙ্গে পিকআপভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হন।
এ ঘটনায় ওই দিনই দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করে। তারা বিনিময় বাস চলাচল বন্ধের দাবি জানান। এরপর তারা বিভিন্ন দাবি উল্লেখ করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেয়।
আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিনিময় বাস সার্ভিস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে টাঙ্গাইল জেলা বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ। এদিকে বাস সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ায় সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। যাত্রীরা পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই- এভাবে বাস বন্ধ করে দেওয়ার বিরোধীতা করে।
ধনবাড়ী উপজেলার মুশুন্দি ইউনিয়নের মোসলেম উদ্দিন জানান, তিনি ঢাকা যাবেন ডাক্তার দেখাতে। বুধবার সকালে ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখেন বিনিময় নামের বাস বন্ধ। তাই বাধ্য হয়ে অন্য লোকাল বাসে ঢাকা যাবেন তিনি। তবে তিনি স্বীকার করেন, বিনিময়ের বাসগুলোর চালক বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণেই টাঙ্গাইলে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করে অন্য বাসের চালকরা জানায়, বিনিময় বাসের চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে সড়কে অনেক যানবাহন ওই বাসটিকে সাইড দিতে বাধ্য হয়। সাইড না দিলে অন্য যানবাহনকে বিনিময় বাস চাপা দেয়। এ কারণে সবাই বিনিময় বাস সার্ভিসকে সড়কের ‘ফাউল বাস’ নামে ডাকেন।
আন্দোলনকারীরা জানায়, বেপরোয়া গতির কারণে বিনিময় বাস বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে অনেক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। তাই তারা সড়কে এ বাস বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা কয়েকটি দাবি করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে তাদের দুজনকে সমিতির অন্তর্ভুক্ত করা, বিনিময় বাসের নাম পরিবর্তন করা।
এ জন্য এ বাস সার্ভিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যাযাদি/এআর