শ্বশুড়ের জানাযা থেকে ফেরার পথে নাটোর সিংড়া উপজেলার তাজপুর এলাকা থেকে এক আওয়ামীলীগ নেতাকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানোর পর ফোন পেয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতার হস্তক্ষেপে উদ্ধার হন ওই ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগীর দাবী,অপহরণ করে তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করা হয়। ওই সময় চাঁদাও চাওয়া হয়।
তবে বিএনপির ওই নেতার দাবী,পূর্ব শত্রুতার জেরে তাকে অপহরণ করা হলেও অক্ষত অবস্থায় তাকে বাড়ি পৌছে দেয়া হয়েছে। কোন চাঁদা চাওয়ার ঘটনাও ঘটেনি।
ভুক্তভোগী ওই ব্যাক্তি হলেন সিংড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক বকুল।
অভিযুক্তরা হলো স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠণ কর্মী রিফাত, মুক্তার মনির রাব্বি, সম্রাট, ইস্রাফিল সহ আরো চারজন।
ভুক্তভোগী বকুল ও তার মায়ের দাবী,বকুলের শ্বশুড় গোলাম মোস্তফা গতকাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মঙ্গলবার দুপুরে ওই জানাযা শেষে বকুল সিংড়ায় ফিরছিলেন। পথে তাড়াশ বারুহাস রাস্তার তাজপুর এলাকা থেকে ওই কয়েক জন তাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে সাতপুকুরিয়া হয়ে চৌগ্রামের দিকে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে বকুলের মা স্থানীয় সেনাক্যাম্পে জানান। পরে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সিংড়া বালুয়া- বাসুয়া এলাকায় বকুলের বাড়িতে তাকে পৌছে দেওয়া হয়। ওই সময় দাউদার মাহমুদসহ অপর এক বিএনপি নেতা তাইজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
বকুল জানান,তাকে অপহরণের পর শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে টাকা চাওয়া হয়।।
উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত নেতা দাউদার মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সেনাবাহিনীর ফোন পেয়ে তিনি নিজে বকুলকে উদ্ধার করে অক্ষত অবস্থায় পৌছে দেন। পূর্বের শত্রুতার জেরে বকুলকে অপহরণের ঘটনা ঘটে দাবী করে তিনি জানান, বকুলের কাছে কোন চাঁদা চাওয়া হয়নি।
যাযাদি/ এম