আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে মহালছড়িতে বিক্ষোভ
প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৫২
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘ছাত্র-জনতা সংগ্রাম পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন।
আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর/২৪) “পাহাড়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগিদের ক্ষমতায় দেখতে চাই না” ব্যানার শ্লোগানে মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।
সমাবেশে ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ’র পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কলেজ ছাত্রী সুবিতা চাকমা।
তিনি বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার সহযোগিদেরকে এখনও আঞ্চলিক পরিষদে বহাল রাখা হয়েছে। তাদেরকে আঞ্চলিক পরিষদে রাখার উদ্দেশ্য হলো পাহাড়ে ফ্যাসিজম বহাল রাখা, তাকে উৎসাহিত করা, যেন পাহাড় সব সময় অশান্ত থাকে। আর পাহাড় অশান্ত থাকলে তা কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীটির জন্য লাভ।
লিখত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা, উচ্চ আদালতের বিচারকরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন মান সম্মান বাঁচাতে। সন্তু বাবুদেরও তাই করা উচিত। সামান্যতম লজ্জা ও আত্মমর্যাদা থাকলে তারা বহু আগে পদত্যাগ করতেন। সন্তু লারমা একবার বলেছিলেন, একজন পুলিশ কনস্টেবলের যে ক্ষমতা, আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েও তার সেই ক্ষমতা নেই। তারপরও কেন তিনি আঞ্চলিক পরিষদের গদি কামড়ে থাকেন?
সুবিতা চাকমা বলেন, সরকার থেকে আঞ্চলিক পরিষদে যে বরাদ্দ দেয়া হয় সেই টাকা কোথায় কীভাবে কোন খাতে খরচ করা হয় আমরা তা জানতে চাই, হিসাব চাই। এই টাকা সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকা। আঞ্চলিক পরিষদ গত ২৫-২৬ বছরে কী কাজ করেছে তার জবাবদিহি চাই। সাধারণ জনগণ আঞ্চলিক পরিষদ থেকে কিছুই পায়নি। সন্তু বাবুরা আঞ্চলিক পরিষদে বসে বসে কেবল ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন, বাস্তবে জনগণের জন্য কোন কাজ করেননি। তারা জনগণের কল্যাণের জন্য কোন কাজ করেছেন এমন কোন নজীর নেই।
আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠন পার্বত্য চট্টগ্রামের আপামর জনগণের দাবি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিষদের মেয়াদ হলো ৫ বছর। কিন্তু তারা ক্ষমতায় আছেন ২৫-২৬ বছর ধরে। তারা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ক্ষমতায় রয়েছেন। কারণ তারা নির্বাচিত নন। দ্বিতীয়ত, প্রতি ৫ বছর পর পর তাদেরকে সরকার পুন: নিয়োগ দিয়েছে বলে আমরা কখনও শুনিনি, সংবাদ মাধ্যমেও এ বিষয়ে কোন খবর বের হয়নি। কাজেই সন্তু বাবুরা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আঞ্চলিক পরিষদে বসে আছেন। ১৯৯৯ সালে সেই যে তাদেরকে বসানো হলো, সেই পর থেকেই তারা আছেন সেখানে।
সমাবেশ থেকে অবিলম্বে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানানো হয়।
যাযাদি/এসএস