গ্লোবাল সুপার লিগ খেলতে গতকাল দেশ ছেড়েছে রংপুর রাইডার্স। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২২ নভেম্বর যুক্তরাজ্য হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গায়ানার উদ্দেশে যাত্রা করবেন রংপুর রাইডার্সের প্রধান সহকারী কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে তিনি মনে করেন, বিশেষ সুবিধা পেয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে যাবে রংপুর রাইডার্স।
গ্লোবাল সুপার লিগের উদ্বোধনী আসরে খেলবে পাঁচ দেশ থেকে পাঁচটি দল। বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে রংপুর রাইডার্স। তবে মাঠে নামার আগেই ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
‘এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, আমাদের মিশনটা চ্যালেঞ্জিং হবে, কাজটাও কঠিন হবে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও গায়ানার দলের বিপক্ষে খেলা তো সহজ হবে না; চ্যালেঞ্জিং তো হবেই। তবে আমার লক্ষ্য ফাইনাল খেলা।’
আশরাফুল আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই জানেন আমাদের সবকটা খেলাই হবে গায়ানায়। এই মাঠে আমরা (বাংলাদেশ) ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছি। যদিও সেটা ৫০ ওভারের খেলা ছিল। তারপরও বলব, ২০০৭ সালে গায়ানায় যে উইকেটে খেলেছি, যদি এখনো উইকেটের চরিত্র অপরিবর্তিত থাকে, তাহলে রংপুর রাইডার্সের সম্ভাবনা খুভ ভালো থাকবে।’
ভালো করার প্রত্যাশ্যার পেছনের কারণও ব্যাখ্যা করেন আশরাফুল, ‘গায়ানার পিচে (প্রোভিডেন্স স্টেডিয়াম) স্পিনাররা বরাবরই সাহায্য পায়। স্পিনারদের ভালো করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমাদের দলে অফ স্পিনার শেখ মেহেদী, লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ও বাঁহাতি অর্থোডক্স আরাফাত সানির মতো তিনজন ভালো মানের স্পিনার আছে। তাই আমার বিশ্বাস, ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা আছে। সাইফউদ্দিনেরও ভালো করার প্রচুর সম্ভাবনা আছে। সব মিলে ভালো খেলা এবং ফাইনাল খেলাই আমাদের লক্ষ্য।’
অধিনায়ক সোহানের অনুশীলন নিয়েও সন্তুষ্ট আশরাফুল, ‘দেশে যে চার দিন অনুশীলন হয়েছে, সেখানে নিজেদের প্রস্তুত করতে ক্রিকেটাররা পর্যাপ্ত সময় পেয়েছে। বোলার ও ব্যাটাররা অনেকটা সময় ধরে অনুশীলন করতে পেরেছে। আমি দারুণ আগ্রহ অনুভব করছি। আশা করছি, ভালো কিছু হবে।’
কোচিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘কোচিংটা হচ্ছে মূলত খেলোয়াড় ম্যানেজমেন্ট। যেহেতু ৯ জনের সবাই জাতীয় দলে খেলেছে, সবাই জানে, কার কি করতে হবে।’
যাযাদি/ এসএম