নারায়ণগঞ্জে জাকির খানকে আদালতে হাজির, মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৮
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানকে একটা হত্যা মামলায় আদালত হাজির করা হলে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, স্লোগানে স্লোগানে আদালত পাড়া মুখরিত হয়ে উঠে। তবে ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জাকির খান কোন ভাবে জড়িত নয় বলে খানের পক্ষের আইনজীবী এড: সরকার হুমায়ন এমনটাই দাবি করেছেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মমিনুল ইসলামের আদালতে জাকির খানকে হাজির করা হয়।
এদিকে ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণে জাকির খানকে আদালতে আনা হবে এমন সংবাদে জাকির খান মুক্তি পরিষদের ব্যানারে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক সকাল থেকে আদালত পাড়ায় হাজির হতে থাকে। আর কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশ যখন জাকির খানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করেন তখনই হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মুক্তি মুক্তি চাই জাকির খানের চাই, এমন স্লোগান দিতে থাকে। জাকির খানের মুক্তি পরিষদের আহবায়ক সলিম উল্লাহ সেলিমের নেতৃত্বে খানের মুক্তির দাবি নিয়ে আদালত পাড়ায় অবস্থান নেয়।
এদিকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে আদালতে আনা হয় জাকির খানকে। এসময় সাব্বির হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন ৯নম্বর তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল আফছার।
স্বাক্ষ্রগ্রহণ শেষে জাকির খানের আইনজীবী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির জানান, আমরা এ মাসেই জাকির খানকে বের করব। জাকির খান খালাস পেয়ে নির্দোষ হয়ে বের হবেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন তিনি মামলার সঠিক তদন্ত করে আনতে পারেননি। আসামি সেসময় দেশের বাইরে ছিল এটাত তিনি বলেছেন। তদন্তের সময়ও তিনি বাইরে ছিলেন। এ মামলায় আমাদের কিছু হবে না। যিনি এ মামলা করেছেন তিনি উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এ মামলা করেছেন এটাও প্রমান হয়ে গেছে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কাইয়ুম তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান, সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় আদালতের নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আসামি জাকির খান উপস্থিত হবেন। সাক্ষ্যগ্রহণের পর তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির জানান, ১০ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা মধ্যে ৯ নম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা নুরুল আফছার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। উনি দুটি পত্রিকার রিপোর্ট সহ কিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া ১৬১ ধারায় ৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নিয়েছিলেন তিনি। আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে ৬ মাসের মধ্যে আদালত মামলাটি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। সেই ৬ মাসের মেয়াদ আগামী ২৫ তারিখ শেষ হয়ে যাবে। ফলে এই সময়ের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবেন বলে আদালতের বিচারক জানিয়েছেন। সে হিসেবে আগামীকাল থেকে প্রতিদিন এই মামলার তারিখ হবে, প্রতিদিন মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
যাযাদি/এসএস