গাজীপুরে শ্রমিকদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, অ্যামাজন নিট ওয়্যার গার্মেন্টসে আগুন

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:২৬

গাজীপুর প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

বেক্সিমকোর কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভের জেরে গাজীপুর মহানগরীর পানিশাইল এলাকায় ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।


রবিবার (১৭ নভেম্বর) কারখানা খুলে দেওয়া হলেও দুপুরের পর ছুটি দিয়ে দিয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে শ্রমিকেরা কারখানায় এসে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার নোটিশ দেখতে পান। পরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের জিরানী এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে শুরু করেন। ওই সময়ে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকেরাও একই স্থানে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। এ সময় শ্রমিক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কয়েকজন আহত হয়।  এক পর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকেরা সাভারের আশুলিয়ায় জিরানি বাজারের পাশে অ্যামাজন নিটওয়্যার নামের কারখানায় অগ্নিসংযোগ করেন।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জিরানী বাজার এলাকার এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী, পুলিশ ও শ্রমিকেরা জানান, বেক্সিমকোর শ্রমিকেরা সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় নিরাপত্তার স্বার্থে স্বার্থে আশপাশের ২০টি কারখানায় কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে।

কর্তৃপক্ষগত ১ নভেম্বর থেকে পানিশাইল এলাকার ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, বেক্সিমকো শ্রমিকেরা বেতন ছাড়া সড়ক থেকে যেতে চাচ্ছে না। বিষয়টির সমাধান করা উচিত। এখানে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে আশপাশের ২০টি কারখানায় আজ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, শ্রমিকেরা পানিশাইল ও আশুলিয়া থানাধীন কলতাসুতি এলাকায় ঢুকে পড়ে তাদের লোকজনদের মারধর করেন। ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী শ্রমিকদের ধাওয়া দেন। বেশ কিছু সময় ত্রিমুখী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। এ সময় ডরিন ফ্যাশন ও বেক্সিমকোর কিছু শ্রমিক পূর্ব কলতাসুতি এলাকার অ্যামাজন নিটওয়্যার পোশাক কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।

গাজীপুরের কাশিমপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন, বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে উত্তেজিত শ্রমিকরা ওই পোশাক কারখানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছ দুপুর পৌনে দুইটার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে বেক্সিমকো কারখানা এলাকায় চন্দ্রা নবীনগর সড়কে অপরাধের বিকেল পৌনে তিনটা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ ছিল  বলে জানিয়েছেন কাশিমপুর থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

 

যাযাদি/এআর