হত্যা মামলায় জামিনের পর নিজেই হত্যার শিকার

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:২৪

ঈশ্বরদী (পাবান) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকা কালে এক ভাইয়ের হাতের কনুই পর্যন্ত কর্তন এবং আরেক ভাইকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী হিসেবে ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আমাসী জানিমে মুক্তি পেয়েছে সপ্তাহ খানেক আগে।

সেই আলোচিত যুবলীগ কর্মীকেই আজ দুবৃত্তরা গুলিকরে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে।

ঘটনাটি আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল পৌঁনে ১০ টায় ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পাকার মোড় এলাকার ইউসুফ পাটোয়ারীর গলিতে ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ওয়ালিফ হোসেন মানিক (৩৪) নামের এক যুবলীগকর্মী।

নিহত মানিক রূপপুর পাকার মোড় এলাকার মো. ইউনুচ সরদার ওরফে ইউনুচ লন্ড্রির ছেলে। সে পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী হিসেবে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শিরহান শরীফ তমালের গ্রুপে রাজনীতি করত।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাকশী ইউনিয়ন যুবলীগকর্মী সৌরভ হাসান টুনটুনির বাঁ হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলা ও টুনটুনির ছোট ভাই তানভির হাসান মনা হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ছিলেন মানিক। হাত কাটার মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মানিক ৭-৮ দিন আগে জামিনে ছাড়া পেয়ে গত রবিবার রাতে নিজ বাড়ি রূপপুরে আসেন। সোমবার সকালে নিজ বাড়ির পেছনে তাকে গুলি করে ও মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই ওয়ালিফ হোসেন মানিককে হত্যা করা হয়েছে।

তারপরও হত্যার কারণ জানতে সন্দিগ্ধদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


যাযাদি/এআর