ফেনীর মহিপাল হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্বপন চেয়ারম্যানসহ ৪ জনকে গ্রেফতার
প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫৬
ফেনীর মহিপাল ছাত্র জনতা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ও আহতদের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বিভিন্ন স্হানে অভিযান চালিয়ে দাগনভুইয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত উল্লাহ স্বপন সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তাদেরকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ ত্রিপুরা। আটককৃতরা হচ্ছেন, দাগনভুইয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত উল্লাহ স্বপন, ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক সাহানা আক্তার, পাঁচ গাচিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়াড ছাত্রলীগ নেতা মোঃ সুমন ও ধর্ম পুর ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া এলাকার মহিউদ্দিনের ছেলে স্হানীয় ছাত্রলীগ নেতা মোবাস্বের হোসেন। এরা সকলেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ফেনীর আদালত।
দাগনভুইয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন স্বপন ২২ টি সংখ্যা লঘু পরিবারকে বসতবাড়ি ছাড়া করে দাগনভুইয়া থেকে বিতাড়িত, পরিষদের দশ শতক জমি জবরদখল করে বহুতল মার্কেট নির্মান, সন্ত্রাসী কায়দায়, পেশী শক্তি দিয়ে দুই মেয়াদে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান, পাড়া মহল্লায় গ্রামে কিশোর গ্যাং তৈরি করে নামাজের ঘর ভাঙ্গার ইন্ধন সহ চুরি, ডাকাতি , ছিনতাই , রাহাজানি, লুটতরাজ করিয়ে নিজেকে গডফাদার দাবি করে, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার অভিযোগ রয়েছে।সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতনের নাম ভাঙ্গিয়ে মাত্র দশ বছরে কমপক্ষে দশ কোটি টাকার মালিক বনে যান। ফাজিলের ঘাট বাজারে শহীদ শহীদুল্লাহ উল্লাহ কাযসার স্মৃতি পরিষদের জায়গা সহ সরকারি খাস জায়গা দখল করে, দোকান পাট নির্মান করেন। মহিপাল হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৫০ জন ক্যাডারের নিয়ন্ত্রক ছিলো এ স্বপন।সে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে , নানা অপরাধ করে কোটিপতি হয়ে যাওয়ার ঘটনায়, দুদক সহ গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি ও তদন্তের মাধ্যমে সঠিক তথ্য বের করে,তাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি ইউনিয়ন বাসির।
যাযাদি/এআর