লক্ষ্মীপুরে গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস পার হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি 

প্রকাশ | ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৬

সাইফুল স্বপন, লক্ষ্মীপুর
ফাইল ছবি

লক্ষ্মীপুরে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের তিন মাস পরেও উল্লেখযোগ্য আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি এ ঘটনার সাথে জড়িত অর্থ যোগানদাতা পরিকল্পনাকারী ও যারা সরাসরি ছাত্র হত্যার অংশগ্রহণ করেছে তারা এখনো ঢাকা অবস্থান করলেও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আসামি এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে। 

ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছাত্রজনতার  উপর হামলাকারীরা গ্রেফতার হলেও লক্ষীপুর জেলায় এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। 

 এজারভুক্ত অনেক আসামি এজারভুক্ত অনেক আসামি তিন মাসের মধ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে সৌদি আরব মালয়েশিয়া ইন্ডিয়ায় চলে যায় এজারভুক্ত আসামিরা পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছে পেয়েছে স্থানে অংশগ্রহণকারী সমন্বয়কদের 

তারা জানান, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এখন পর্যন্ত ছাত্র জনতা উপর হামলাকারী পরিকল্পনাকারী অর্থ যোগানদাতা প্রধান প্রধান আসামিরা এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ছাত্র সমন্বয়করা  অভিযোগ করছে যে পুলিশের যারা এসআই হিসেবে বা মামলার তদন্তে  রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে  লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় কত থাকায় আশাবাদীদের সাথে তাদের জোগ সাজস রয়েছে  যার কারণে এখন পর্যন্ত মামলার উল্লেখযোগ্য কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি। 

এখন পর্যন্ত মামলার প্রধান প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না করতে পারার কারণে মামলার  বাদী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছে তারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যারা ছাত্র জনতা গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের হত্যা করেছে তারা বিভিন্নভাবে ও যারা আন্দোলনের অংশগ্রহণ করছে তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করেছে।। যারা অর্থ যোগদাতা ও পরিকল্পনকারী বেশিরভাগ প্রধান আসামিরা বাংলাদেশ ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান গ্রহণ করছে। সারা বিশ্ব অভিযানে এখনো যদি তাদেরকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে তারা দেশের বাইরে পালিয়ে যাবার আশঙ্কা রয়েছে। 

ছাত্র জনতার উপর হামলার এজারভুক্ত আসামি নজরুল ইসলাম বুলু, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ তফসির,লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ  ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি সেবাব নেওয়া, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত  হোসেন ভূঁইয়া,জেলা ছাত্রলীগে যুগ্ম স সাধারন সম্পাদক শাহিন আলম, চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু,  জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল সহ,  ৪০ জন পালিয়েছেন  বিদেশে পালিয়েছেন। 

এখনো ঢাকায় অবস্থান করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক টিংকু, সাধারণ সম্পাদক নুরুদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন টিপু। 

ছাত্র সমন্বয়করা আরমান হোসেন  অভিযোগ করেন পুলিশের যোগ সাজেশের কারণেই বিদেশে পালিয়ে গেছে এবং যারা দেশে অবস্থান করছে তাদের সাথে পুলিশের যোগাযোগ রয়েছে না হলে তারা কেন গ্রেফতার হচ্ছে না। 

অতি দ্রুত ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হলে, তাদের গ্রেপ্তার দাবিতে আন্দোলন করা হবে। 

লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের  আহবায়ক রেজাউল করিম লিটন জানান ছাত্র  অভ্যুত্থানে নিহতদের করা মামলার আসামিরা ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে পুলিশ এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য আসামিকে গ্রেফতার করতে পারিনি। এতে করে মামলার বাদী ও ছাত্র আন্দোলনকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেককে সন্ত্রাসীরা ঢাকায় বসে অন্যভাবে হুমকি-ধুমকি প্রদান করছে। লক্ষ্মীপুর জেলা সেক্রেটারি  নূরনবী ফারুক জানান ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের মামলার আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ কিভাবে তারা পাচ্ছে তিনি সংশয় প্রকাশ করছেন পুলিশের কিছু অফিসারের সাথে আসামিদের  যোগাযোগ রয়েছে। হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামিরা তবে পুলিশ পাচ্ছেন পুলিশ যদি মামলার গ্রেপ্তারে চালায় কেন তারা গ্রেফতার হচ্ছে না? লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ  সুপার ও অফিসার ইনচার্জ পরিবর্তন হলেও জেলায় বিভিন্ন থানায় কর্মরত এস আই এখনো বদলি হয়নি।  আগে যারা কর্মরত  রয়েছে পুলিশের এস আই পদে  তাদের সাথে আওয়ামী লীগ দোসরদে যোগাযোগ রয়েছে। যার কারনে বাম্বার আসামীদেরকে সক্ষম হচ্ছে না। 

লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার আখতার হোসেন জানান, ছাত্র অভ্যুত্থানে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতদের করা মামলায় যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে আছেন তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে সহসাই মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। 

মামলায় তার  বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন তারা কিভাবে পালিয়ে গিয়েছে তারা সেটা তদন্ত করে দেখবে অতি দ্রুত যারা দেশ অবস্থান করছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। 

যাযাদি/ এসএম