মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার কুশিয়ারা নদী পাড়ের কালারবাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জলাশয়ে ভরাটকৃত বালুর স্তুপের উপর অবশেষে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়। গেল ২৪ অক্টোবর যায়যায়দিনে “কুশিয়ারার কালারবাজারে জলাশয় ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণের পয়তারা” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনের পর জেলাজুড়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। প্রতিবেদনে পানি উন্নয়ন বোর্ডেও বরাত দিয়ে বলা হয়, বহু আগে শর্ত সাপেক্ষে ৩ বছরের জন্য সাধারণ জনগণকে বন্দোবস্ত দেওয়া হতো এবং শর্তে লিখা থাকতো জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না। এখন বন্দোবস্ত দেওয়া বন্ধ রয়েছে।
এদিকে যায়যায়দিনে সংবাদ ছাপার পর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ওই এলাকার জরদখলকৃত ভূমি উদ্ধার করতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট তফতরের প্রতি জোর দাবি জানান। প্রতিবেদন ছাপার পর মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশনায় সরেজমিনে গিয়ে জবরদখলের সত্যতা পেলে জলাশয়ে তাদের জমি চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড বসানো হয় বলে জানান কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী। বালুর স্তুপের উপর বসানো সাইনবোর্ডে লেখা আছে “ কামালপুর মৌজার ১৮ নং জেএলস্থিত আরএস ২ নং খতিয়ানের আরএস ১৭৫ ও ১৯২ দাগের এই সম্পত্তির মালিক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড,মৌলভীবাজার। উক্ত সম্পত্তি বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা নিষেধ বলেও আদেশ দেয় পাউবো।
এদিকে ওই প্রতিবেদনের পর সরেজমিনে সেনাবাহিনী গিয়ে খোঁজ নেন এবং যারা জলাশয় ভরাট করেছেন তাদের কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়।
সেনাবাহিনীর ২২ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি উপ-অধিনায়ক মেজর মোস্তফা আনোয়ারুল আজীজ বলেন, যায়যায়দিনে সংবাদ প্রচারের পর সরেজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নেয় সেনাবাহিনী। এখন যারা জলাশয়ে বালু ভরাট করেছেন তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাচাই চলছে। কাগজপত্র দেখে পড়ে জানানো যাবে।
এদিকে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, আমরা আমাদের ভরাটকৃত জলাশয়ে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি। বিনা অনুমতিতে যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারেন তাই সতর্ক করা হয়েছে।
যাযাদি/ এসএম
কালারবাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জবরদখলকৃত জলাশয়ে এভাবে সাইবোর্ড লাগানো হয়েছে