নীলফামারীর সৈয়দপুরে শীত পড়া শুরু করেছে। ইতিমধ্যে মধ্যরাত থেকে ঘন-কুয়াশা পড়ে সকাল ৯/১০টার আগে সারছেনা। গত ক’দিন থেকেই সন্ধ্যার পরই বেশ শীত অনুভুত হচ্ছে। যার ফলে মানুষজন গরম কাপড় ছাড়া সন্ধ্যার আর বাড়ি থেকে বেরুচ্ছেন না। আর ঘন-কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠানামায়েও চরম বিঘ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে নিম্নবিত্ত ও গরীব-অসহায় মানুষজন শহরের রেল-লাইনের ধারে গড়ে ওঠা পুরনো গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে এক টুকরো শীতবস্ত্রের জন্য ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। দিন-দিন এ ভিড় বাড়ছেই। লক্ষ্য করা গেছে, মধ্যবিত্ব পরিবারের নারী-পুরুষ এ পুরনো গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন বেশী। যার ফলে দোকানদাররা বেশী দাম হাঁকছেন।
এতে করে নিম্নবিত্ত ও গরীব অসহায় মানুষজন গরম কাপড় কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই, এলাকার বোদ্ধামহল মত পোষন করছেন যে, শীত পুরোপুরি নামার আগেই নিম্নবিত্ত্ব, ছিন্নমূল ও অসহায় গরীব মানুষদের শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে এখনই সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এদিকে শীত বাড়ার সাথে-সাথে ঘন-কুয়াশা পড়ায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটগুলোরেরও উঠা-নামা করতে বিঘœ ঘটছে।
মোবাইল ফোনে কথা হলে বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের লোকমান হাকিম জানান, মধ্যরাত থেকেই ঘন-কুয়াশা পড়ায় সকাল ১০টা পর্যন্ত বিমানবন্দরে রানওয়ের দৃষ্টিসীমা ৫০ থেকে ২শ’ মিটার বিরাজ করায় সকালের ফ্লাইটগুলোর ওঠানামায় বিঘ্ন ঘটছে। এসময় তিনি জানান, মিনিয়াম তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও ম্যাক্সিমাম ৩০.২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠানামাও করছে।
যাযাদি/ এসএম