নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রফিক হত্যা মামলার রায়ে ৮ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হাফিজুর রহমান রোববার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় প্রদান করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ইসমাইল (৩৩), কাজল মিয়া (৩০), মজিবুর রহমান (২৭), আশ্রব আলী (২৭), ছামেদুল (৩২), শাহজাহান (২৮), নজরুল (২৮) এবং নুরুল আমিন (৪৫)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালে স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমানের সমর্থক হওয়াকে কেন্দ্র করে পরাজিত তোতা মেম্বারের সমর্থকদের সাথে দুর্গাপুরের নন্দেরছটি গ্রামের মোঃ আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোঃ আব্দুর রফিক ওরফে রহিতের (২৮) তর্ক বিতর্ক হয়। এর জেরেই ওই সালের ২৪ জানুয়ারী বোরো জমিতে সেচ দিতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে না আসলে পরদিন ভোরে চিনাকুড়ি বিলে তোতা মেম্বারের রোপিত জমিতে পাটের বস্তায় রহিতের লাশ পাওয়া যায়।

গোবিন্দগঞ্জে নিখোঁজের চারদিন পর নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার  

এ ঘটনায় রহিতের বাবা মোঃ আব্দুল মোতালেব বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারী মামলার ৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ এক যুগ ধরে চলমান মামলায় মোট ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহনান্তে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। সেই সাথে একই মামলায় বস্তায় ভরে রাখায় (২০১ ধারায়) দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদেরকে ৫ বৎসর করে সশ্রম কারাদন্ড তৎসহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

মামলা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীঅ্যাডভোকেট আবুল হাসেম। আসামীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জাহিদুল হাসান সৈকত। যাযাদি/ এম