রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলায় এক আসামীকে গ্রেপ্তারের পর বাদীর বাড়িতে ফের হামলা ও ভাংচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এমনকি দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার না করলে অন্য মামলায় ফাঁসানো সহ পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। আসামীদের অব্যাহত হুমকিতে বাদীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীতায় ভুগছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোহান আলী উপজেলার মাড়িয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের গ্রামের বেলাল হোসেনের পুত্র।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর উপজেলার মাড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের কাছে চা়ঁদাদাবি করে একই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র আলাউদ্দিন, আলাউদ্দিনের পুত্র রকি, বেলাল হোসেন, সোহান আলী, আজাদ আলী, মনি, মানিক ও কলিমুদ্দিন নামের কয়েকজন ব্যাক্তি।
আসামীদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে লাঠিসোটা, লোহার রড, হাসুয়া, হাতুড়িসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে শফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় শফিকুল ইসলামের হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও বোনকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। গুরুতর আহত শফিকুল ইসলাম বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ঘটনায় ১২ নভেম্বর দুর্গাপুর থানায় চাঁদাদাবি ও হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন শফিকুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা বেগম। ওই মামলায় ১৬ নভেম্বর রাতে মাড়িয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামী সোহান আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার বাদী আয়েশা বেগম অভিযোগ করেন, গত শনিবার রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার আসামী সোহান আলীকে গ্রেপ্তার করায় মামলার অপর আসামীরা রাতেই আমার বাড়ীঘর ভাঙচুর করে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ দায়েরকৃত হত্যাচেষ্টার মামলা তুলে না নিলে ফের হত্যার হুমকি দেয়। আসামীদের এমন হুমকি ধামকীতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান আয়েশা বেগম।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দেবাশীষ নন্দী জানান, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোহান নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দূরুল হোদা বলেন, আসামী গ্রেপ্তার করায় বাদীর বাড়িতে ফের হামলা ভাংচুর করা হয়েছে এমন খবর জানা নেই। তবে মামলার তদন্ত কাজ চলছে। ইতোমধ্যে একজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
যাযাদি/এসএস