রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গাইবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সগুলো এখন ‘নিস্প্রাণ’

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
  ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৫০
ছবি : যায়যায়দিন

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি জেলা গাইবান্ধা। যা রংপুর বিভাগে অবস্থিত। ২,১৭৯.১৭ বর্গকিলোমিটারের গাইবান্ধার জনসংখ্যা ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬০ জন, ২০২২ সালের আদম শুমারি অনুযায়ী।

১৮৭৫ সালে ভবানীগঞ্জ একটি মহকুমা হিসেবে স্থাপিত হয়, একই বছরে এর নামকরণ করা হয় গাইবান্ধা। ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলার মর্যাদায় উন্নীত করা হয়। জেলাটি কৃষি উৎপাদন বিশেষ করে ধান, পাট ও সবজির জন্য পরিচিত এবং যমুনা, তিস্তা এবং ব্রহ্মপুত্র সহ বেশ কয়েকটি প্রধান নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত। গাইবান্ধায় সাতটি উপজেলাতেই মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স রয়েছে। এছাড়া জেলা সদরে গাইবান্ধা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স রয়েছে।

কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ভবনগুলোতে মুক্তিযোদ্ধাদের এখন যাতায়াত নেই বললেই চলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তুলে ধরতে, দেশে প্রেমে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে এই ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল। ভবনগুলোতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পদচারণায় মুখরিত ছিল। কিন্তু আজকে ভবনগুলোতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাতায়াত না থাকায় এখন ভবনের দরজা-জানালা ও প্রধান ফটক ধুলো-বালিতে আচ্ছন্ন।

ভবনগুলোতে রয়েছে সভা কক্ষ, পাঠ কক্ষ ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের অফিস কক্ষ। ভবনের সম্মুখ দিকে তাকালে মনে হয় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিণত হয়েছে। ফলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সাইনবোর্ডটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সাইনবোর্ড দিয়ে ঢেকে গেছে।

ষ্টুডিও, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী, ফটোকপির দোকান ও বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সেখানে গড়ে উঠেছে।

এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী জানান, বয়স হয়েছে তাই আর অফিসে যেতে মন চায় না।

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী আকবর মিয়া জানান, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানের পর পটপরিবর্তন হয়েছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে