রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
  ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪
আপডেট  : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১১
ছবি: যায়যায়দিন

শেরপুরের নকলায় পুকুরে বিষাক্ত জাতীয় দ্রব্য প্রয়োগ করে মো. ছামিদুল ইসলাম নামে এক মৎস্য চাষীর প্রায় ৫ মণ মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই চাষীর প্রায় ৪০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার টালকী ইউনিয়নের পশ্চিম টালকী এলাকার একটি পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় স্থানীয় শহিদুল ইসলাম, শবদুল ইসলাম, আবজাল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে অভিযুক্ত করে নকলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার টালকী ইউনিয়নের পশ্চিম টালকী গ্রামে ছামিদুল ইসলাম ২০ শতাংশের একটি পুকুরে দীর্ঘদিন থেকে দেশীয় জাতের মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। শুক্রবার রাতে পুকুরে মাছের খাবার দিয়ে চলে আসে। শনিবার ভোরে পুকুরে মাছের খাবার দিতে গিয়ে দেখেন পুকুরের সমস্ত মাছ মরে পানির উপর ভেঁসে আছে। পরে স্থানীয় শহিদুল ইসলাম, শবদুল ইসলাম, আবজাল হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

মৎস্য চাষী ছামিদুল ইসলাম বলেন, শহিদুল ইসলাম, শবদুল ইসলাম ও আবজাল হোসেনদের বৃহস্পতিবার রাতে আমার পুকুর পাড় দিয়ে হাটাহাটি করতে দেখা গেছে। তাছাড়া তাদের সাথে জমিজমা নিয়েও দীর্ঘদীন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। সেই শত্রুতার জেরে বিষাক্ত জাতীয় দ্রব্য প্রয়োগ করে আমার পুকুরের সব মাছে মেরে ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছেন। তাই আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এর উপযুক্ত বিচার চাই।

শহিদুল ইসলাম, শবদুল ইসলাম ও আবজাল হোসেন বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। শত্রুতার বশত আমাদের কথা বলতেছেন। এটা হলো ঘৃন্যতম কাজ। যেই ঘটিয়ে থাকুক এমন ঘটনা আমরাও তার বিচার চাই। পুলিশ তদন্ত করে বের করুক এর পিছনে কে আছে।

নকলা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটা লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যাযাদি/এআর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে