বাংলার নবান্ন উৎসবের মাস অগ্রহায়ণ শুরু হয়েছে শনিবার। নওগাঁর পোরশা উপজেলার কৃষকরাও উৎসাহ নিয়ে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শুরু করেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা তাদের চাষাবাদকৃত ধান কাটা নিয়ে ব্যাস্ত। উৎসাহ নিয়ে আমন কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শুরু করলেও বাদ সেধেছে বাজারে ধানের দাম। বর্তমান বাজারে ধানের দাম আশানুরূপ পাচ্ছেন না বলে তারা বলছেন। সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়া ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ফসলের কিছু ক্ষতি হওয়ায় ধানের ফলন নিয়েও তাদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এ কারণে ধানের কাঙ্খিত উৎপাদন নাও হতে পারে বলে তারা ধারনা করছেন। অনেক সময় কিছু জমিতে টিউবওয়েল ও শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি সেচের মাধ্যমে ধান বাঁচিয়ে রাখার চেষ্ঠা করেছেন তারা বলে জানান।
গত বছরের তুলনায় বিঘাপ্রতি ৩-৪ মন ধান কম হচ্ছে বলে কৃষকরা বলছেন। জালুয়া গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন, গনি আমিন ও বারিন্দার হুমায়ন কবির জানান, ধানে বাড়তি সেচ দেওয়ার কারনে এবার উৎপাদন খরচ বেড়েছে। বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১১৫০-১২৫০ টাকায়। ফলে ধান বিক্রি করে তাদের উৎপাদন খরচ উঠলেও লাভ হবে না।
এছাড়াও মাঠ থেকে ধান কাঁটা ও মাড়াই এর জন্য শ্রমিকদের বিঘাপ্রতি ৩-৪মণ ধান দিতে হচ্ছে। এসব খরচ বাদ দিলে দেখা যাবে কোন লাভ থাকবে না।
তারা আরও জানান, ধার-দেনা করে ও বাজার থেকে বাঁকীতে কীটনাশক নিয়ে জমিতে প্রয়োগ করা হয়েছে। আর ধান বিক্রি করে দেনা শোধ করার কথা। কিন্তু বাজারে ধানের আশানুরূপ দাম না পাওয়া গেলে দেনা পরিশোধ তো দুরের কথা তাদের সংসার পরিচালনা করা কঠিন হয়ে যাবে বলে তারা মনে করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, এবারে উপজেলায় ১৫হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে আমন লাগানো হয়েছিল। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তারা আশা করছেন। আর ধানের দামের ব্যাপারে তাদের বলার কিছুই নেই। এব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
যাযাদি/এআর