একটি ব্রীজের অভাবে প্রায় সাড়ে চার যুগ ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ও শিয়ালকোল ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষের। ধান, পাট, সবজিসহ কৃষি পণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পারাপাড়ের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।
অসুস্থ রোগী নিয়ে শহরে কিংবা হাসপাতালে নিয়ে যেতে ভুগতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও ৫৩ বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রীজটি। এ অবস্থায় জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাযায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ও বহুলী ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ইছামতী নদী। জনসাধারনের নদী পারাপারের একমাত্র পথ সরাইচন্ডি ঘাট। ঘাটটিতে ব্রীজ না থাকায় দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষকে ৫৩ বছর যাবত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নদীতে যখন পানি কম থাকে তখন গ্রামবাসী সাকো নির্মাণ করে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হয়। অনেক সময় সাকো পার হতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা। আর বর্ষায় সাকো তলিয়ে যাওয়ায় পারাপার হতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
ভ্ক্তুভোগীরা জানান, ব্রীজটির অভাবে ৩০টি গ্রামের কৃষক কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে পারছে না। নদীর পুর্বপাড়ে স্কুল-কলেজ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল কলেজে সময় মত যেতে না পাড়ায় অকালে শিক্ষাজীবন থেকে ঝড়ে পড়ছে। গর্ভবতীসহ মুমুর্ষ রোগীকে সময় মতো হাসপাতালে নিতে না পারায় অনেকে মারা যাচ্ছে। কয়েক বছর আগে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না জনসভায় ব্রীজটি নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন কাজ হয়নি। স্থানীয় সবুজ আলী, আজহার আলীসহ অনেকে জানান, স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন সরকারের জনপ্রতিনিধিরা ইছামতি নদীর উপর সরাইচন্ডি ঘাটে ব্রীজ নির্মানে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও ৫৩ বছরেও কেউ সেটা বাস্তবায়ন করেনি। কযেক বছর আগেও সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্না প্রতিশ্রিুতি দিয়েও সে কিছুই করেনি। এ অবস্থায় ৩০ গ্রামের মানুষের জনদুর্ভোগ কমানোসহ কৃষিপণ্য বাজারজাত করনে সুবিধার জন্য দ্রুত ব্রীজটি নির্মানের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, আমি জয়েন করার পর শুনতে পেরেছি ব্রীজের ডিজাইন হয়েছে। কিন্তু আসলে সত্য নয়। মুলত ব্রীজটি নিয়ে কোন ধরনের প্রস্তাবনাও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দেয়া হয়নি। তবে জনস্বার্থে ব্রীজটি নির্মানের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অবহিত করা হবে।
যাযাদি/এআর