সিরাজগঞ্জে বন কর্মকর্তা পরিচয়ে যানবাহন থেকে চাঁদাবাজীর সময় জনতার হাতে আটক হয়ে যমুনা ইকো পার্কের বন পাহাড়াদারকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে।

বন পাহারাদার রিপন মিয়া সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার জারিলা মধ্য পাড়া গ্রামের আবু সিদ্দিক মন্ডলের ছেলে।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহষ্পতিবার মধ্য রাতে শহরের কাঠেরপুল এলাকার রহমতগঞ্জ কবরস্থানের সামনে ফার্ণিচার বোঝাই ৬ পিকআপ ট্রাকের চালকের নিকট নিজেকে বন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে অবৈধ ফার্ণিচার পরিবহনের ভয় দেখিয়ে গাড়ি প্রতি ১ হাজার করে টাকা চাঁদা দাবী করেন। কিন্তু চালকদের তার পরিচয় সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করেন। তখন রিপন ক্ষিপ্ত হয়ে চালকদের মামলার ভয় ও পিকআপ গুলো আটকে রাখে। এতে চালকদের সাথে তার বাকতিন্ডার হয়। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে রিপন পালানোর চেষ্টা করে। তখন স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়। তখন রিপন নিজেকে যমুনা সেতু পশ্চিম ইকো পার্কের বন পাহাড়াদার বলে স্বীকার করেন। এঘটনা জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রিপনকে আটক করে।

এঘটনায় শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে চালক মোকলেছুর রহমানসহ ৬ চালক বাদি হয়ে রিপনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ রিপনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

থানচি প্রেসক্লাবের সভাপতি অনুপম, সম্পাদক চহ্লামং

বন পাহারাদার রিপন দীর্ঘ দিন ধরে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে চলাচলকারী কাঠবাহী গাড়ীর চালকদের নিকট থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।

যাযাদি/এসএস