'৬৫০ টাকা দরে ২০০ গ্রাম মাংস বিক্রি'
প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৭
ঢাকার কেরানীগঞ্জে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হয় ৭৫০ টাকায়, কিন্তু বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের 'ন্যায্যমূল্যের বাজারে’ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়।
শুধু দাম কমই না নিম্ন আয়ের মানুষের আমিষের চাহিদা বিবেচনায় ২০০ গ্রাম মাংসও বিক্রি হচ্ছে এই বাজারে।
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির মধ্যে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কদমতলি গোলচত্বর এলাকায় কম দামে গরুর মাংস পেতে ভীর করেন ক্রেতারা। কেরানীগঞ্জ উপজেলায় প্রথমবারের মতো ২০০ গ্রাম গরুর মাংস বিক্রি হওয়ায় খুশি ক্রেতারা। এছাড়া কসাইদের চেয়ে কম দাম ও শিক্ষার্থীরা ভালো মানের মাংস এখানে পাচ্ছেন বলে জনান ক্রেতারা। আলউদ্দিন ব্যাপারী নামে এক ক্রেতা বলেন, জিনজিরা, আগানগর ও শুভাঢ্যা ইউনিয়নসহ উপজেলায় প্রতি কেজি মাংস ৭৫০ টাকা। এখানে কেজিতেই ১০০ টাকা কম। গতকালকে লোকমুখে শুনে শিক্ষার্থীদের এ বাজারে এসেছি। মাংসের মান খুবই ভালো। মাংস কিনতে আসা মহাসিন মিয়া বলেন, ২ কেজি মাংস নিয়েছি ৬৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন বাজার থেকে নিলে ৭৫০ টাকা করে নিত। আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের উপকারই হলো। এদিকে ২০০ গ্রাম মাংস কিনে বাড়ি ফিরছিলেন কদমতলি খালপাড় এলাকার রিজিয়া খাতুন বলেন, গত ছয়মাস মাংস খাইনি। কম দামে পেয়ে অনেকদিন পর ২০০ গ্রাম মাংস নিয়ে যাচ্ছি।
ন্যায্যমূল্যের বাজারের বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া জানান, শিক্ষার্থীদের বাজারে শাক-সবজির পরে এবার গরুর মাংস সুলভ মূল্যে বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারের চেয়ে কম দামে ভোক্তাদের কাছে গরুর মাংস সরবরাহ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ৬৫০ দরে ২০০ গ্রাম গরুর মাংস বিক্রি নিসন্দেহে প্রশংসা দাবিদার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রতিনিধি আল আমিন মিনহাজ ও নাজমুল ইসলাম হৃদয় বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সিন্ডিকেট ভাঙা এবং সাধারণ মানুষ যাতে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস কিনতে পারে, সে জন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে একজন ক্রেতা ২০০ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ২ কেজি পর্যন্ত মাংস কিনতে পারবেন। আমরা সপ্তাহে শুক্রবার এ 'ন্যায্যমূল্যের বাজার' চালু রাখব এবং পরবর্তীতে কার্যক্রম বাড়ানোর চেষ্টা করব। এতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। এসময় ন্যায্যমূল্যের বাজারের উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষার্থী আসাদ নূর সাব্বির, সোহান খান, অর্নব মাহমুদ, আরিয়ান আহমেদ হৃদয়, রতন হোসেন, মো. শাওন, নয়ন হোসেন, দ্বীপ খান, মো. আকাশ ও হাফসা ইসলাম প্রমুখ।
যাযাদি/এসএস