নকলায় চাচাকে হত্যার অভিযোগ ভাতিজার বিরুদ্ধে: আটক ৩
প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৩০
শেরপুরের নকলায় চাচাকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজা ও তার দুই সন্তানের উপর। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার গৌড়দ্বার ইউনিয়নের রুনীগাও মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আইয়্যুব আলী (৬৫) রুনীগাওয়ের দছির উদ্দিন মেম্বারের পুত্র। সে পেশায় দর্জি ছিল। এ ঘটনার অভিযোগে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ভাতিজা মুকুল মিয়া (৪৫) ও তার দুই ছেলে মহসিন হাসান (২৩) ও জিহান হাসান (২০)কে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র ও নিহতের ছেলে রাজন মিয়া জানান, আমাদের পরিবারের সাথে জমিজমা নিয়ে মুকুল মিয়ার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। সেই ক্ষোভে আমার বাবা আইয়্যুব আলীকে দুইদিন আগে হত্যার হুমকী দেয় মুকুল মিয়া। আমার বাবা পেশায় নকলা বাজারে দর্জির কাজ করে সংসার চালাইতেন। প্রতিদিনের মত দুপুরের খাবার টিফিন ক্যারিয়া করে সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে নকলায় দর্জির কাজ করতে দোকানে যান। কিন্তু গতরাতে বাড়ি ফিড়তে দেরি হচ্ছে। মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। তাই পরিবারের সবাই চিন্তায় পরে যাই এবং বাজারে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি রাত অনুমান ১০টার দিকে কাজ শেষ করে বাড়ি চলে আসছেন। কিন্তু চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়ায় এখনো বাবা বাড়ি আসেনি। সবাই মিলে বাবাকে খুঁজতে বের হওয়ার সময় বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে দেখি বাবার জুতা ও বাজারের ব্যাগ এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। জুতা আনতে গিয়ে দেখি মাটিতে অনেক রক্ত। আরেকটি সামনে এগিয়ে দেখি একটি মরদেহের পায়ের অংশ পুকুরের পাড়ে পা ও মাথার অংশ পানিতে ডুবে আছে। সবাই গিয়ে ধরাধরি করে তুলে দেখি আমার বাবার গলাকাটা মরদেহ। পরে আমরা পুলিশকে সংবাদ দেই। পুলিশ বাবার মরদেহ থানায় নিয়ে যায়। মুকুল মিয়া ও তার দুই ছেলে মিলে আমার বাবাকে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, আমরা রাতে সংবাদ পাই রুনীগাও মধ্যপাড়ায় আইয়্যুব আলী নামের এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে। তাৎক্ষনিক পুলিশ যায় এবং মৃতের সুরতহাল প্রস্তুতের সময় দেখতে পায় গলায়, বুকে ও চোখের উপরে কোন ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। পরিবারের প্রাথমিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা রাতেই তিনজনকে আটক করেছি। যাচাই বাছাই চলছে। পরবর্তী আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
যাযাদি/এসএস