কোম্পানীগঞ্জে যুবদল নেতাকে হত্যার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে
প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় যুবদলের স্থানীয় এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে।
নিহত মো.ইউনুস আলী এরশাদ (৪০) চরফকিরা ইউনিয়নের দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছ গ্রামের রইছুল হকের ছেলে।
পেশায় নৌকার মাঝি এবং তিন সন্তানের জনক এরশাদ চরফকিরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। একই ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এরআগে একইদিন সকালে দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছ গ্রামে ঘাটে তাকে চুরিকাঘাত করা হয়।
নিহতের ছোটভাই সামছুদ্দিন (৩০) জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছগ্রাম ঘাটে লিজ নেওয়া ভিটায় দোকানঘর নির্মাণ করতে যান এরশাদ। এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় জলদস্যু নিজামের নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্য সমীর, জাবেদ, ওবায়েদ, জিয়া, সুজন, তারেক এরশাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের চুরিকাঘাতে এরশাদের পেটের নাড়িভুড়ি বেরিয়ে যায়। তাকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আশকাজনক অবস্থায় এরশাদকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্সে এবং পরে জেলা সদরে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি দেখে রাতেই চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে ফেণীতে মৃত্যু হয় তার।
হামলাকারীরা এরশাদের অপর তিন ভাই জহির উদ্দিন (৩৩), নিজাম উদ্দিন (২৮) ও ফরহাদ (২৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে।
এরশাদের ছোটভাই সামছুদ্দিন বলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাঞ্ছুরুল হক বাবর বামনী নদী ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাছ ধরার প্রত্যেক ট্রলার থেকে নিজাম ডাকাতের বাহিনী দিয়ে চাঁদা আদায় করেন। নিহত এরশাদের মাছ ধরার ট্রলার থাকায় তার থেকেও ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরে পাঁচ হাজার টাকা দিলেও বাকি টাকা না দেওয়ায় নিজাম ডাকাত ও তার বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে এরশাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
অভিযুক্ত বিএনপি মাঞ্ছুরুল হক বাবর নদীতে চাঁদাবাজি এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তার দাবি, রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে না পেরে উপজেলা বিএনপির এক নেতা তার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্রে করছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যাযাদি/ এস