বিয়ের ১০ বছর পর জন্ম নেয়া সন্তান সাইমুন ছিল বাবার আদরের দুলাল। যখন যা চাইতো প্রবাসী বাবা দুই হাত খুলে ছেলের আবদার মিটাতেন। কিন্তু ছেলের সর্বশেষ আবদার মেটাতে কিনে দেয়া মোটর সাইকেলই প্রাণ কেড়ে নিল একমাত্র আদরের সেই ছেলের প্রাণ। নির্মম এই ঘটনাটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব বড়ালি গ্রামের।
জানা গেছে, পৌর এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ালি গ্রামের বড় বাড়ির কাতার প্রবাসী হান্নান গাজী ও শিপনী বেগম দম্পত্তির ঘরে বিয়ের দশ বছর পর সাইমুন এর জন্ম হয়। দীর্ঘদিন পর ঘর আলো করে আসা একামাত্র ছেলের সকল আবদার মেটাতেন বাবা ও মা। স্থানীয় আদর্শ একাডেমির দশম শ্রেণির সাইমুন (১৫) সর্বশেষ আবদার ছিল একটি মোটর সাইকেল। ছেলের আবদারমেটাতে বাবা হান্নান গাজী গত কয়েক মাস পুর্বে ৩ লাখ টাকা দিয়ে একটি মোটর সাইকেল কিনে দেয়। কিন্তু শখের মোটর সাইকেলই সাইমুনের জীবনের জন্য কাল হয়ে দাড়ালো।
সাইমুনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তার প্রতিবেশি চাচা এফ এ মাানিক জানান, গত ৬ নভেম্বর বুধবার বিকালে সাইমুন নিজের মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে পৌর এলাকার ওনুআ চত্বরে দূর্ঘটনায় পতিত হয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ নভেম্বর (বুধবার) রাতে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে একমাত্র ছেলের মৃত্যুর সংবাদ জানার পর ছেলের শোকে প্রাগল প্রায় মা শিপনী বেগম। অন্যদিকে প্রবাসে থাকলেও বাবা হান্নান গাজীও ছেলের শোকে পাথর হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। পুরো এলাকা জুড়ে বইছে শোকের মাতম।
যাযাদি/ এসএম