ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই শিশু কন্যাসন্তান সহ মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা ১১টার সময় সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা সরকার বাড়ি থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মৃতরা হলেন, ঘাটুরা সরকার বাড়ির আশরাফ আলীর স্ত্রী শারমীন আক্তার, দুই শিশু কন্যা রোজা আক্তার-(৫) এবং নওরিন আক্তার-(৩)। ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দিয়েছেন আশরাফ আলী।
স্থানীয় সূত্র ও স্বজনেরা জানান, আশরাফ আলী বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের অধীনে চাকুরি (ক্যাজুয়্যাল) করেন। আশরাফ আলী একজন মাদকসেবী। এনিয়ে প্রায়ই স্ত্রী শারমীনের সাথে তার প্রায়ই ঝগড়া-ঝাঁটি হতো। পারিবারিক অশান্তির কারনে বুধবার সকালে দুই শিশু কন্যাকে বিষপান করিয়ে নিজেও কেরির ট্যাবলেট (পোকা মারার ঔষধ) খান গৃহবধূ শারমীন। পরে তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মুজাহিদ সরকার বলেন, ঘটনাটি মর্মান্তিক। আমরা মেনে নিতে পারছিনা। আত্মহত্যা কোন সমস্যার সমাধান হতে পারেনা। আমরা তাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি।
একই এলাকার বাসিন্দা রাসেল সরকার বলেন, আত্মহত্যার পেছনে কেউ প্ররোচনা দিয়েছেন কিনা তা তদন্ত করে বের করা উচত। কেউ জড়িত থাকলে তাকেও বিচারের আওতায় আনা দরকার।
এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিয়াজ উদ্দিন মিতুল বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশু দুটির মৃত্যু হয়। হাসপাতালে আনার পর মারা যায় শিশুদের মা শারমিন আক্তার। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি কেরির ট্যাবলেট খেয়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তানভীর আহমেদ, বলেন, কি কারণে ওই গৃহবধূ তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ঘটনার পর পরই মৃতের স্বামী আশরাফ আলী ও তার স্বজনেরা গা ডাকা দিয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
যাযাদি/ এসএম