আখাউড়ায় দুই ইউপিতে প্যানেল চেয়ারম্যান একটিতে প্রশাসক নিয়োগ

প্রকাশ | ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৫২

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

৫ আগষ্ট পরবর্তী মামলা জনিত কারণে দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দুই ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যান এবং একটিতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।


এর মধ্যে আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন কাজী ইউসুফ, আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদে আয়েত আলী এবং মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা প্রতিবন্ধি সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনসালট্যান্ট ডাঃ এ. এইচ. এম মামুনকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য এ নিয়োগ দিয়েছেন। আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভিন রুহি নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


জানা গেছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হওয়ার পর কিছু দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মামলায় আখাউড়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আসামী করা হয়। এরপর থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারমানগণ দায়িত্ব পালনে সমস্যায় পড়েন। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান তারা। এতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নাগরিক সেবা ব্যহত হয়। জনসেবা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার (ইউনয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় দুইটি ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান এবং একটিতে প্রশাসক নিয়োগে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পন করা হয়েছে।

এদিকে, উপজেলার অপর দুইটি ইউনিয়ন মনিয়ন্দ ও ধরখার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণও মামলা জনিত কারণে নিয়মিত পরিষদে আসছেন না। এতে জন্ম নিবন্ধন, নাগরিক সনদসহ  বিভিন্ন সেবা নিতে আসা ভোগান্তিতে পড়ছেন। তবে, গোপনে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ ছায়েদ মিয়া গত ১১ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি পত্রের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির বিষয়টি অবগত করেছেন।
রাণীখার গ্রামের বাসিন্দা শেখ হুমায়ুন কবির জীবন বলেন চেয়ারম্যান অফিসে আসে না। এতে নাগরিক সেবা পেতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

জানতে চাইলে মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এম. এ মতিন বলেন যে সময়ের ঘটনার  মামলায় আমাকে আসামী করেছে ওই সময়ে আমি দেশের বাইরে ছিলাম।

 

 

যাযাদি/এসএস