আসাদুল ইসলাম সজিব (২৯)। আজ থেকে ৫ বছর আগেও সে সুস্থ জীবনযাপন করতো। বাকি বন্ধুদের মত মাঠে খেলাধুলা করতো নিয়মিত। হঠাৎ একদিন রাতে ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে মেরুদণ্ডের ব্যাথায় অসুস্থ হয়ে পরে সজিব। এরপর বাসায় এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়। পরবর্তীতে তার ব্যথা আরও বাড়তে থাকে।
এক পর্যায়ে মেরুদণ্ডের স্পাইনাল কর টিউমার অপারেশন করে। এর পরেও সুস্থ হয়নি সজীব। আবার সেই যায়গায় ১৭ দিন পর অপারেশন করে। আসাদুল ইসলাম সজিব লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবী গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র।
সজিব জানায়, ১৭ দিন পর পর মেরুদণ্ডের স্পাইনাল কর দুইবার অপারেশন করেও সুস্থ হইনি। এখান আমার পুরো দুই পা অবশ হয়ে গেছে। সারা শরীরে ফোড়ায় ভরে গেছে। উঠতেও পারিনা, বসতেও পারিনা। দৈনিক যে ঔষধের খরচ তা আমার পরিবারের পক্ষে যোগানো খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
সজিবের বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে অজানা রোগে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পরে আছে। ছেলের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা-পয়সা খরচ করেও ভালো হয়নি। আমার পক্ষে এত টাকা জোগার করা সম্ভব না। এ যাবত ১০ লক্ষ টাকার অধিক খরচ করেছি। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি সহায়তা করে তাহলে হয়তো ছেলেকে সুস্থ করতে পারবো।
স্থানীয় আলমগীর হোসেন বলেন, সজীব আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। দীর্ঘদিন এক সাথে মাঠে খেলেছি। হঠাৎ আজ থেকে ৫ বছর আগে রাতে ব্যাডমিন্টন খেলে বাড়িতে ফিরে মেরুদণ্ডর ব্যথা অনুভব করে। এরপর ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পুরো পা অবশ হয়ে যায়। এমতবস্থায় দুইবার অপারেশন করেও তাকে ভালো করা যায়নি। ডাক্তার কোন রোগ ধরতে পারেনি। এখন সজীবের পরিবারের পক্ষে তার চিকিৎসার জন্য খরচ জোগানো সম্ভব হচ্ছে না।
যাযাদি/ এসএম