মাদারীপুর জেলা শিবচর উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মৃত মান্নান মালের ছেলে আনোয়ার মাল ও তার লোকজন নিয়ে মতিউর রহমান মালকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছেলে জুলহাস মাল বাদী হয়ে শিবচর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে সন্যাসীরচর ইউনিয়নের মালের কান্দি সাকিনে হাজী মতিউর রহমান মাল মার্কেট এর সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মতিউর রহমান মাল ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হলে মালের কান্দি নিজ মার্কেট এর সামনে আসলে মৃত মান্নান মালের ছেলে আনোয়ার মাল চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৪০/৪৫ জন লোকজন নিয়ে জড়ো হয়ে মতিউর রহমান মালতে অকথ্যভাষায় গালাগালি করে। এসময় আনোয়ার মতিউর মালকে হত্যার জন্য নির্দেশ দিলে বাদশা মালের ছেলে সোবাহান মাল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এতে মতিউর মালের বাম হাতের তালুতে লেগে হাত রক্তাত্ত্ব যখম হয়। এবং পাশে থাকা নাসির মাল ও নাঈম মাল তাদের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে বাম পায়ে আঘাত করে। ঐ সময় স্থানীয় জিন্নত শেখ রক্ষা করতে আসলে আবু তালেব তাহার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তার ডান হাতের হারে আঘাতে লাগে। এসময় রক্ষা করতে আসলে বজলু মালসহ অন্তত ১০ থেকে ১৫জন আহত হন। এসময় মতিউর মালের হাত থেকে জোড় পূর্বক দুই লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে যায়। এছাড়া গোলাম মাল তার হাতে থাকা একটি ব্যাগের ভিতরে দেশীয় তৈরী হাতবোমা এনে পরপর তিনটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মতিউর রহমানের বাড়েতে প্রবেশ করে লুটপাট ও ভাংচুর করে।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে এদের মধ্যে জিন্নত শেখ ও বজলু মালকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করেন।
আহত মতিউর রহমান মাল অভিযোগ করে বলেন, অনেক আগে আমি মার্কেট করায় আনোয়ার, বাদশা মাল নানান ঝামেলা করে আসছিল। আমি গতকাল রোববার ঢাকার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হই। হঠাৎ করে আনোয়ার মালের নেতৃত্বে বাদশা মালসহ ৪০-৫০ জন দেশীয় অস্ত্র-লাঠি নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমাকে রক্ষা করতে আসলে জিন্নত শেখ, বজলুমালসহ অনেক লোক গুরুতর আহত হয়। হামলাকারীরা এসময় দেশীয় তৈরী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমার বাড়িতে ভাঙচুর করে। এ সন্ত্রাসীদের কঠিন বিচার চাই।
ঘটনায় অভিযুক্ত আনোয়ার মাল ও বাদশা মালের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তাদের মোবাইল ফোনে কল দিলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
এ বিষয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোক্তার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যাযাদি/ এসএম