মৌলভীবাজারে জুড়ী উপজেলার বটুলী সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক নারী ও শিশুসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (১০ নভেম্বর) ভোর রাতে ভারত থেকে উপজেলার বটুলী সীমান্ত দিয়ে ৭ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এ ঘটনা ঘটে।
পরে তারা কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তবে এ ব্যাপারে বিজিবির কোনো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- দিলারা বেগম (২৮) ও সোহানা (৮)। আহতরা হলেন- নাজিমুদ্দিন (৩৫), নুর সাহিদ (৮), নূর সাহারা (৭), মোহাম্মুনুর আক্তার (৫) ও সাইফান নুর (২)।
জানা যায়, ভারত থেকে অবৈধপথে নাজিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী দিলারা বেগম ৫ শিশুসন্তান নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে বিএসএফ। এ সময় দিলারা বেগম ও তার কোলে থাকা শিশু সোহানা গুলিবিদ্ধ হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজিম উদ্দিন জানান, বিএসএফের এক সৈনিক এক রাউন্ড গুলি করে। ওই গুলি তার স্ত্রী ও সন্তানের গায়ে লাগে। পরে আরও গুলি করতে চাইলে বিএসএফের অস্ত্র থেকে গুলি আটকে যায়। পরে তারা দ্রুত বাংলাদেশের ভেতর ঢুকে পড়েন। প্রায় ২ বছর আগে শাশুড়িকে দেখার জন্য তারা ভারতে যান। দালালের মাধ্যমে ফেরার পথে সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হন তার স্ত্রী ও এক সন্তান। পরে রোববার সকাল ৭টার দিকে তারা কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতাল পাঠান।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর জেনারেল হাসপাতালের সানেক ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে রোববার বিকেলে শিশু ও তার মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সকালে তারা জুড়ী থেকে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। পরে চিকিৎসক তাদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।
যাযাদি/এসএস