বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১

সুবর্ণচরে আলোচনা সভা, গুণী শিক্ষক সম্মাননা ও মেধাবৃত্তি প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
  ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:০৬
ছবি: যায়যায়দিন

উপকূলীয় অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থায় জলবায়ু ন্যায্যতা আদায় ও উচ্চ শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে আলোচনা সভা, গুণী শিক্ষক সম্মাননা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান হয়েছে। চরবাটা সওদাগর হাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চন্দ্রকলি ফাউন্ডেশন নামে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবেশবাদী একটি সংগঠন এ আয়োজন করে।

শনিবার বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে চলে এসব আয়োজন।

রাতে "জলবায়ু সংকটাপন্ন এলাকায় বৈষম্যহীন শিক্ষার অধিকার সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক'' আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ডেপুটি এসাইনমেন্ট এডিটর তারেক মোহাম্মদ মোরতাজা হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বৈষমাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, জলবায়ু সংকটাপন্ন এলাকায় এখনো শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ। শহর এবং গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আকাশপাতাল ব্যবধান। সংবিধানে সবার সমান শিক্ষার অধিকারের কতঅ বলা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

বৈষমাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মূখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষা খাতে রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকিয়ে দিয়েছিলো। সব নিয়ন্ত্রণ করতো তারা। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসছে। সংস্থার হচ্ছে সব খাত।

সভাপতির বক্তব্যে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ডেপুটি এসাইনমেন্ট এডিটর তারেক মোহাম্মদ মোরতাজা হাসানবলেন, চর থেকে শহর সর্বত্র ইসাফ কিংবা সমতার সমাজ প্রতিষ্ঠায় এবং বৈষম্য মুক্তির জন্য যে আকাঙ্খা শুরু হয়েছে সেই আকাঙ্খার বাস্তবায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

আলোচনা সভা শেষে ১০ জন গুণী শিক্ষক ও গত ৬ বছর চন্দ্রকলীর সাথে কাজ করে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের বিশেষ সম্মাননা এবং ২০২৪ সালে চন্দ্রকলি আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

তাছাড়া ৬ শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি প্রদান এবং অন্তত ৫০ শিক্ষার্থীকে পুরষ্কৃত হয়।

এর আগে বিকেলে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে "এই সংসদ পরিবেশের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য সার্বজনীন বিচার ব্যবস্থার সমর্থন করে শীর্ষক" সংসদীয় বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

চন্দ্রকলী ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, চন্দ্রকলি ফাউন্ডেশন ১৯৯২ সাল থেকে নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মৌলিক শিক্ষা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আসছে।

এছাড়ও জলবায়ু সংকট নিরসন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল বাস্তবায়ন, মেধাবৃত্তি, বৃক্ষরোপনসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে।

পরিবেশ উন্নয়নে দেশের ৩৫টি জেলায় বৃক্ষরোপন ও সচেতনতামূলক কাজ এবং বিরল প্রজাতির ও দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষ সংরক্ষনে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে