'রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে বাংলাদেশ ভারত দু দেশের বাণিজ্য ও দ্বিপাক্ষীক সম্পর্ক শক্তিশালী হবে'
প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১৬
খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে খাগড়াছড়ি রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান তিন পার্বত্য অঞ্চলসহ কক্সবাজার, নোয়াখালী, ফেনী অঞ্চলের মানুষের সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা,আন্তঃদেশীয় ও বাংলাদেশ ভারত দু দেশের মধ্যে বাণিজ্য,দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শক্তিশালী হবে।
এ বিষয়গুলো জোরদার করার লক্ষ্যে এটি স্থাপন করা হয়েছে। শুক্রবার(৮ নভেম্বর) রামগড় স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন,আমি কাজের অগ্রগতি দেখতে আসছি। কখন উদ্বোধন হবে তা এখনো জানিনা তবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আছেন , যখন ওনারা সময় দিবেন তখনই উদ্বোধন করা হবে। এ বন্দর সম্ভাবনাময় ।এখানকার মানুষ যারা যেতে চান তারা এ বন্দরের মাধ্যমে খুব দ্রুত যেতে পারবে। বর্তমানে অনেক দূরবর্তী বন্দর ব্যবহার করে যেতে হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যে মালামাল যায় সেটা সহজে যেতে পারবে আবার আমরাও আনতে পারব।কাজের গুনগতমান ও অগ্রগতিসহ সার্বিক কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন ,রামগড় ও সিলেটের শেওলা স্থলবন্দর দুটি একই মডেলের নির্মিত হচ্ছে।দেশের অনেক পোর্ট ঘুরে দেখেছি ঐগুলোর চাইতে এ বন্দরের কনস্ট্রাকশন ডিজাইন ও প্ল্যানিং খুবই সুন্দর এবং চমৎকার।এসময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন প্রকল্প পরিচালক সরোয়ার আলম।এর আগে শুক্রবার দুপুর বারোটায় তিনি রামগড় স্থলবন্দর এসে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন। পরে তিনি পায়ে হেটে স্থলবন্দরের নির্মিত ও নির্মানাধীন অবকাঠামো এবং মৈত্রী সেতুর বাংলাদেশের অংশ পরিদর্শন করেন।এই সময় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব আনিসুর রহমান,রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ নাজিম উদ্দিন,থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন ,বিজিবির প্রতিনিধি ও স্থলবন্দরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/এসএস