চট্টগ্রামে শীতের আগাম সবজিতে ভরপুর বাজার
প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১১
শীতের আগাম সবজিতে ভরপুর চট্টগ্রাম নগরের কাঁচাবাজার গুলো। দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা করে কমেছে। কিন্তু অধিকাংশ সবজির দামই এখনো ১০০ টাকার নিচে আসেনি। বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির দাম পুরোপুরি সহনীয় পর্যায়ে আসতে আরও সপ্তাহখানেক লাগতে পারে। তবে অন্যান্য শাকসবজি ও মাছ-মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজার অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপ্লেক্স, কাজীর দেউড়িসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে নতুন আসা শীতের সবজির মধ্যে ফুলকপি ১৩০, বাঁধাকপি মানভেদে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, শিম ১৬০, মুলা ৭০, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ এবং শসা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে গেল সপ্তাহের চেয়ে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা ও বেগুনের।
অন্যান্য সবজির মধ্যে লাউ ও পেঁপে ৪০, ঢেঁড়স ৬০, মিষ্টি কুমড়া ৪৫ থেকে ৬০, বরবটি ৬০, করলা ৭০-৮০, কাঁকরোল ১৩০ থেকে ১৪০ গাজর ১৭০ এবং পটল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়ে আলু ৭০, টমেটো ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ১২০ টাকা ও ধনে পাতা ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া লাল শাক, মূলা শাক, পুঁই শাক ও মিষ্টি কুমড়া শাক ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাছ ও মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতোই দেখা গেছে। বাজারে মাঝারি সাইজের তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে। আর ২৫০ গ্রাম ওজনের চাষের রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ ও কার্পজাতীয় মাছ বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আড়াই থেকে দুই কেজি ওজনের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া ইলিশ মাছ ওজন অনুযায়ী, ১৮০০ থেকে ২৩০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৯০০ থেকে ১৪০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৪০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৮০০ থেকে ১৪০০ টাকা, কাজলী মাছ ১২০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা ও লইট্যা মাছ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
মাংসের মধ্যে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস হাড়ছাড়া ৯৫০ টাকা ও হাড়সহ ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাজারে দেশি রসুন ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা, চায়না রসুন ২৪০ টাকা, চায়না আদা ৩২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া ছোট মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৫৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, চনার ডাল ১৪৫ টাকা ও ছোলা ১৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা ও খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের চালের দামও কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা করে বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।কাটারিভোগ আতপ ২৫ কেজির বস্তা ২০৭০ টাকা, বেতি আতপ ৩২৩০ থেকে ৩২৮০ টাকা, হাফসিদ্ধ নাজিরশাইল ২২০০ টাকা, চিনিগুঁড়া ১৫০ টাকা ও পাইজাম আতপ ১৭৭০ থেকে ১৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আটার দাম কেজিতে অন্তত ৫ টাকা বেড়েছে। দুই কেজির প্যাকেট আটা ১২৫ টাকা ও ময়দা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বহদ্দারহাটে বাজার করতে আসা আদনান আলম বলেন, এখন শীতকালীন সবজি খাওয়ার মৌসুম। কিন্তু দাম বেশি এসব সবজির। দাম আরেকটু কমলে আমরা স্বস্তি পেতাম।
সবজির দামের বিষয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজার আড়তদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফারুক শিবলী বলেন, এখন শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। দামও কমতির দিকে। এখনও পুরোদমে আসতেছে না সবজি, পুরোদমে আসলে দাম আরও কমবে।
যাযাদি/এসএস